ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হকের ওপর হামলা চালায় বালুদস্যুরা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার মাস পরও তদন্ত শেষ হয়নি। আর জামিনে মুক্ত হয়েছে সব আসামি।
৪ মে সকালে রাবনাবাদ চ্যানেলের পশুরবুনিয়া স্পটে বালু উত্তোলনকারী ৪০-৫০ জন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। উপজেলা প্রশাসনের নৌযানে ইট নিক্ষেপ করা হয়। আহত হন ইউএনওর স্টাফসহ একাধিক পুলিশ সদস্য। প্রথম দফায় এদের কাউকে আটক করা যায়নি।
পরবর্তীতে কোস্টগার্ডের সহায়তায় লিটন গাজী ও তার এক সহযোগী রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় হামলাকারীর মূলহোতা কেরামত হাওলাদারসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন পেশকার জাফর প্যাদা।
ওই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বালু উত্তোলনে জড়িত আট শ্রমিককে (ড্রেজারের স্টাফ) তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সব আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কলাপাড়ার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, আমরা সরকারি কর্মচারী, সরকারে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝে আমাদের কাজ করতে হয়।পাশাপাশি আমরা এ দেশের নাগরিক। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। পেশাগত কাজের সঙ্গে জড়িত সব সরকারি কর্মচারীসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।