ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি ও ব্যারাকপুরের এমপি অর্জুন সিংহের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার মুড়িমুড়কির মতো বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।
তবে এতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয়া ওই এমপি বা তার দলের কেউ হতাহত হননি। প্রকাশ্য দিবালোকে অর্জুন সিংহের মতো দাপুটে নেতার বাড়ির চারপাশে বোমা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যারাকপুরের ওই বিজেপির এমপি। সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে ঢোকার পরেই বোমা হামলা শুরু হয়।
অর্জুন সিংহ বলেন, আমি বাড়ি ঢোকার সময়ই কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করি। জামাকাপড় ছেড়ে নিচে এসেছিলাম আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করতে যে, গোলমাল হতে পারে।
কিন্তু কিছু বলার আগেই বোমা পড়তে শুরু করল।একটা বোমা তো আমার একেবারে সামনেই পড়ল। বাকিগুলো চারপাশে।
এ সময় নিরাপত্তাকমর্মীরা তাদের তাড়া করলে বোমা মারতে মারতে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
অর্জুন সিংহের দাবি, তাকে খুন করতেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। পুলিশ এবং প্রশাসনের মদতেই তৃণমূল তাকে খুন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির অভিযোগ।
২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই ভাটপাড়া এবং সংলগ্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভোটে অর্জুন জেতার পরে সে উত্তাপ আরও বাড়ে।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মাসাধিক কাল ধরে বিরাট এলাকা বধ্যভূমি হয়ে উঠেছিল। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছিল ভাটপাড়া ও সংলগ্ন এলাকা থেকে।
অর্জুনের অভিযোগ, হার মেনে নিতে না পেরে প্রতিশোধ নিচ্ছে তৃণমূল। আর তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ, ভোটে জিতেই এলাকাকে বিরোধীশূন্য করতে চাইছেন অর্জুন।
নির্বাচনের পর থেকেই ব্যারাকপুরের পরিস্থিতি নিয়ে গোটা রাজ্যে হইচই শুরু হয়। পুলিশের কঠোর অবস্থানে রক্তপাত কিছুটা এড়ানো গেলেও উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত করা যায়নি।
সম্প্রতি বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনে অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্জুনের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার বোমা হামলার পর পরিস্থিতি আরও থমথমে হয়ে উঠেছে।