পূর্ব ভূমধ্যসাগরে বিরোধীয় অঞ্চলে তুরস্কের প্রাকৃত্তিক সম্পদ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় গ্রিসের সঙ্গে ক্রমশই উত্তেজনা বাড়ছে। এর ফলে ওই অঞ্চলে তুরস্কের মোকাবেলা করতে ফ্রান্স থেকে যুদ্ধবিমান কিনতে আলোচনা চালাচ্ছে গ্রিস। পাশাপাশি দেশটি অন্যন্য দেশ থেকে সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র ক্রয় করছে।
মঙ্গলবার রয়টার্সের বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক এ তথ্য জানিয়েছে।
এর একদিন আগে গ্রিসের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অস্ত্র ক্রয় করতে দেশে আলাদা অর্থের বরাদ্দ রয়েছে।
রয়টার্সকে সরকারি সূত্র বলেছে, আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা সম্ভাবনা বাড়াতে আমরা ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা করছি।এমন একটি আলোচনার মধ্যে বিমান ক্রয়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।তবে ফ্রান্স ছাড়াও অন্য দেশের আলোচনার বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়া হয়।
বিমান ক্রয়ের বিষয়ে ফ্রান্সের সরকারি সূত্র জানায়, সিন্ধান্তটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে গ্রিক সংবাদ মাধ্যম সোমবার জানিয়েছে, ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনতে সম্মত হয়েছে অ্যাথেন্স।
কোনো লিখিত চুক্তি হাতে পাওয়া ছাড়াই কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এটি প্রচার করেছে। তবে কয়েকটি বিষয় নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে ওই সরকারি সূত্র নিশ্চিত করে। বিস্তারিত কিছুই জানায়নি।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের বিরোধ চলে আসছে। আঙ্কারা বলছে, তুরস্কের সামুদ্রিক অঞ্চলের ভিত্তি রেখায় তুর্কি উপকূলের কাছে ছোট একটি দ্বীপের কাছে তারা অনুসন্ধানের কাজ করছে।
যখন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী ক্রিয়াকোস মিতসোটাকিস গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দু’বার বৈঠক করেন, ঠিক সেসময়ই ফ্রান্স ও জার্মানি চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।
এদিকে সোমবার রাতে ১২ সেপ্টেমম্বর পর্যন্ত অনুসন্ধান জাহাজের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক।
সম্প্রতি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মিসর ও সাইপ্রাস বড় জ্বালানি খনির সন্ধান পেয়েছে। এর পরই তুরস্ক ওই এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ পাওয়ার জন্য অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে ওঠে। এ নিয়ে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।