বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের তুজির বাজার। এই বাজার সংলগ্ন খালের উপর তিন কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ৮৫ মিটার দৈর্ঘ্যের (২৭৮.৮৮ ফুট) একটি লোহার ব্রিজ সংস্কার করার কথা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি)। গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত ওই ব্রিজটি তন্নতন্ন করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে একটি বাঁশের সাঁকো পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার (৬৫) সঙ্গে। এখানে ব্রিজ আছে কি-না জানতে চাইলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, এখানে ব্রিজ পাবেন কই? দুই-তিন কিলোমিটারের মধ্যেও এখানে কোনো ব্রিজ নেই। যুগ যুগ ধরে কত জনপ্রতিনিধির, কত অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি আমরা। কিন্তু কেউ এখানে একটি ব্রিজ দেয়নি। প্রতিদিন শত শত গ্রামবাসী বাঁশের সাঁকো দিয়েই এই খাল পার হয়। নিজেদের উদ্যোগে এই সাঁকো তৈরি করেছি আমরা। ওই যে বাঁশের সাঁকো দেখছেন, ওটাই এখানকার ব্রিজ।
এখানে একটি ব্রিজ আছে এবং সেই ব্রিজটি সংস্কারে তিন কোটি টাকারও বেশি প্রাক্কলন ব্যয় ধরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে জেনে স্থানীয় যুবক মো. সজীব (২৫) বলেন, দেশটা চোরে ভরে গেছে। এই সাঁকোটিকেই কাগজে-কলমে ব্রিজ বানিয়ে সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাটের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানকার সংসদ সদস্য ছিলেন। এই লুটপাটের খবর তিনি যদি জানতে পারেন, তাহলে একটা ব্যবস্থা হবেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের (আইবিআরপি) আওতায় গত ২৮ জুলাই ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ৩৩টি লোহার ব্রিজ সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
দরপত্রে আমতলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৬টি ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি ব্রিজ সংস্কারের জন্য বরাদ্দ অনুমোদন দেয়া হয়। মোট আটটি প্যাকেজে আহ্বান করা হয় এ দরপত্র। দরপত্র জমাদানের শেষ তারিখ বেধে দেয়া হয়েছে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দরপত্রে পুরোনো ব্রিজের স্থলেই কেবলমাত্র সংস্কারে জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ব্রিজ নেই এমন কোথাও নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
গত শুক্রবার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দরপত্রের অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি ব্রিজ সরেজমিনে পরিদর্শনে নামে সংবাদ কর্মীরা। অনুসন্ধানে দরপত্রের অন্তর্ভুক্ত হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নাশবুনিয়া খালের উপর চার কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে সংস্কারের আওতায় আনা দুই নম্বর প্যাকেজে থাকা ১১০ মিটার (৩৬০ ফুট) দৈর্ঘ্যের ব্রিজ তো দূরের কথা খালেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি উপজেলার কোথাও এই নামে কোনো খাল নেই বলেও নিশ্চিত করেছেন উপজেলার নবীন-প্রবীণ অধিবাসী এবং সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ বর্তমান জনপ্রতিনিধিরাও।
এছাড়াও আড়াই কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে দরপত্রের তিন নম্বর প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত একই ইউনিয়নের রামজি বাজার সংলগ্ন ৭০ মিটার (২২৯ ফুট) দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ সংস্কারের কথা বলা হলেও সেখানে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকো ছাড়া কোনো ব্রিজ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
একই ইউনিয়নে সংস্কারের জন্য দরপত্রের দুই নম্বর প্যাকেজে থাকা দুলপুকুরিয়া এলাকার এলাহিয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন ৬০ মিটার (১৯৬ ফুট) দৈর্ঘ্যের ব্রিজ এবং একই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ রাওগা কেরাতুল কোরআন দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন ৬০ মিটার (১৯৬ ফুট) দৈর্ঘ্যের ব্রিজটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই দুই স্থানেই স্থানীয়দের তৈরি দুটি বাঁশের সাঁকো দেখিয়েছেন স্থানীয়রা। চার কোটি টাকারও অধিক ব্যয়ে এই দুই স্থানে ব্রিজ সংস্কারের কথা।
ব্রিজই নেই অথচ সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকার প্রাক্কলন ব্যয় দেখিয়ে দরপত্র আহ্বান করায় এ প্রকল্পটিকে ভুয়া ও ভৌতিক প্রকল্পের পাশাপাশি লুটপাটের প্রকল্প হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না করে স্থগিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন ঠিকাদাররা।
স্থানীয় ঠিকাদার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, দরপত্র আহ্বান করার পর আমি কয়েকটি ব্রিজ ঘুরে দেখেছি। প্রকল্পের ৪নং ও ৫নং প্যাকেজের আওতায় গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচরার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাত কিলোমিটার এলাকায় ছয়টি ব্রিজ সংস্কারে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রাক্কলনে রাস্তার চেইনেজ অনুসারে ০-২০০ মিটারের বাইনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি, ১০০০ মিটারের উত্তর ডালাচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি, ২০০০ মিটারের বারেক হাওলাদার বাড়ি সংলগ্ন একটি, ৩০০০ মিটারের হারুন মোল্লার বাড়ি সংলগ্ন একটি, ৪০০০ মিটারের মজিদ হাওলাদার বাড়ি এলাকায় একটি এবং ৭০০০ মিটারের শরীফ বাড়ি সংলগ্ন একটি ব্রিজ দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রাক্কলনের চেইনেজের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। প্রাক্কলনে বাইনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শরীফ বাড়ি পর্যন্ত সাত কিলোমিটার দূরত্ব দেখানো হলেও বাস্তবে এর দূরত্ব হচ্ছে দুই কিলোমিটারেরও কম।
তিনি আরও বলেন, বারেক হাওলাদার ও শরীফ বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় কোনো ব্রিজ নেই। সেখানে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। আর উত্তর ডালাচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ব্রিজ বা সাঁকো কোনোটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বাকি দুটি ব্রিজ যানবাহন চলাচলের উপযোগী। শুধু রেলিংয়ের সামান্য সংস্কারই যথেষ্ট। অথচ সংস্কারের নামে বিপুল অর্থ বরাদ্দ দেখানো হয়েছে।
আহ্বান করা দরপত্রের ৩৩টি ব্রিজের মধ্যে যেসব স্থানে ব্রিজ আছে তা সংস্কারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ব্রিজেরই দৈর্ঘ্য বেশি দেখানো হয়েছে। এছাড়াও সংযোগ সড়কে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাটির কাজ এবং রেল পোস্টসহ নানা খাত দেখিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের তুজির বাজার সংলগ্ন ৮৫ মিটার দৈর্ঘ্য যে ব্রিজটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, সেখানে থাকা বাঁশের সাঁকোটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬০ মিটার। ব্রিজ না থাকার পরও এখানে ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য বেশি দেখানো হয়েছে। এছাড়াও এখানে মাটির কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় নয় লাখ টাকা। একই ইউনিয়নের রামজী বাজার সংলগ্ন ব্রিজেরও একই অবস্থা। সেখানেও ব্রিজ নেই। আছে ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো। অথচ এখানেও এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১৯ মিটার বেশি দেখানো হয়েছে। একই অর্থ বছরে এলজিইডির একই প্রকল্পের আওতায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার তিনটি ব্রিজে যে ব্যয় ধরা হয়েছে সেই তুলনায় আমতলীর ২৬টি ব্রিজের প্রতিটিতে তূলনামূলক দ্বিগুন ব্যয় ধরা হয়েছে।
এদিকে ভুয়া ও ভৌতিক এই দরপত্রটি বাতিলের দাবিতে ইতোমধ্যেই এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছেন বরগুনার ঠিকাদাররা। ওই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের মন্ত্রী ও সচিবকেও। চিঠিতে প্রয়োজনের তুলনায় প্রকল্পের প্রাক্কলন ব্যয় দ্বিগুন করার পাশাপাশি দরপরত্রটি বাতিলের যৌক্তিকতাও তুলে ধারা হয়েছে। এছাড়াও একই পদ্ধতিতে বিএনপি জোট সরকারের সময়ে এমন প্রকল্পের মাধ্যমে একটি চক্র কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে বলেও উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে। কোনো সুনির্দিষ্ট ঠিকারদারকে এই কাজ পাইয়ে দিতে এমন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. বশির উদ্দিন বলেন, দরপত্র আহ্বান করার পর আমতলী উপজেলার অন্তত ২৫টি ব্রিজ আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে ১৩টি ব্রিজের স্থানে আমরা বাঁশের সাঁকো পেয়েছি। আর এমন কয়েকটি ব্রিজ দেখেছি- বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে ওইসব ব্রিজ সংস্কারের কোনো প্রয়োজনই নেই। প্রতিটি ব্রিজের দৈর্ঘ্যই বেশি দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচরা এলাকার বাসিন্দা হারুন মোল্লা বলেন, মাত্র দেড় কিলোমিটারের একটু বেশি জায়গায় চার চারটি ব্রিজ সংস্কারের জন্য দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি চলাচল উপযোগী, বাকি দুটি বাঁশের সাঁকো যা দিয়ে সামান্য লোকজন চলাচল করে। এভাবে সরকারের অর্থ অপচয় করার পেছনে নিশ্চয়ই দূরভিসন্ধি রয়েছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওগা কেরাতুল কোরআন মাদরাসা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুলতান গাজী (৬৩) বলেন, মাদরাসার এখানে কোনো ব্রিজ নেই। এখানে একটি বাঁশের সাকোঁ আছে। এই সাঁকো দিয়ে খালে পড়ে স্থানীয় এক নারী মারাও গেছে। তারপরও আমাদের এখানে কোনো ব্রিজ আজ পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি।
একই ইউনিয়নের দুলপুকুরিয়া এলাকার এলাহিয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুলতান গাজী (৭৬) বলেন, আমাদরে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এজন্য পরিমাপও করা হয়েছে। তবে এখানে এই মুহূর্তে বাঁশের সাঁকো ছাড়া সংস্কার করার মতো কোনো ব্রিজ নেই এবং কখনও ছিলো না।
নিয়মানুসারে প্রাক্কলন তৈরির ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সার্ভেয়ার (পরিমাপক) ব্রিজ পরিমাপ করবেন। এছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরেজমিনে পরিদর্শনের পর প্রাক্কলন তৈরি করার কথা।
যোগাযোগ করা হলে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আবদুল কুদ্দুস বলেন, ব্রিজের দৈর্ঘ্য ও মাটি পরিমাপের কথা থাকলেও আমি কিছুই করিনি। প্রাক্কলন তৈরির পর আমাকে স্বাক্ষরের জন্য বলা হলেও আমি সরেজমিনে পরিদর্শন না করে স্বাক্ষর করবো না বলে জানিয়ে দেই। পরবর্তীতে কীভাবে প্রাক্কলন অনুমোদন করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।
একই বক্তব্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দীনের। তিনি বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়ার পর প্রাক্কলন তৈরির নিয়ম থাকলেও আমি এসবের কিছুই করিনি। ঢাকা থেকেই প্রাক্কলন তৈরি ও অনুমোদন করা হয়েছে। এর বাইরে আমি কিছুই জানি না।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে প্রকল্প পরিচালক প্রকল্প তৈরি করেছেন। আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আমি সেভাবেই বাস্তবায়ন করছি। প্রাক্কলনে আমার স্বাক্ষর নেই। কাগজপত্রে আমি আমার আগের প্রকৌশলীর স্বাক্ষর দেখেছি।
বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী ফোরকান আহমেদ খান বলেন, এই প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি থেকে শুরু করে কোনো কাজেই জেলা পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সংশ্লিষ্ট নেই। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর অনুমোদনক্রমে সব কিছুই প্রকল্প পরিচালক নির্ধারণ করেছেন। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র নির্দেশনা অনুসরণকারী মাত্র।
এ বিষয়ে আইবিআরপি প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল হাই বলেন, এ বিষয়ে আমি নিজেও জানি না। বরগুনা থেকে প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে এবং তা অনুমোদন করা হয়েছে। আমার মনে হয় এতো বড় ভুল হওয়ার কথা নয়।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা সরেজমিনে তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে দরপত্র বাতিল করা হবে।
বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আবদুল হাই বলেন, তিনি হয়তো জানেন না বা এটা তার অজ্ঞতাজনিত বক্তব্য। নয়তো এমন কথা বলার কথা নয়।
তবে এ বিষয়ে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।