সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক আইসি পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন কোর্ট পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।
তিনি জানান, এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক আইসি পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দি গ্রহণের আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লিয়াকতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যা মামলায় লিয়াকত আলী রোববার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে এ হত্যা মামলায় এপিবিএনের এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত বুধবার এ মামলার আসামি এপিবিএন কনস্টেবল আবদুল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ১৭ আগস্ট এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয় র্যাব-১৫ কার্যালয়ে। পরের দিন ১৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।