মাত্র দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা। আর এই রাস্তাটি পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের শহরের সঙ্গে সংযোগের এবং চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। কিন্ত এখন তা এতই বেহাল যে, দূর থেকে তাকালে মনে হবে রাস্তা নয়, যেন একটি মরা নদী।
দীর্ঘদিন ধরে এরাকাবাসী রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া চাঁদু সরদারের বাড়ি হতে আকবর মৃধার বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তাটি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে। মাটির রাস্তা হলেও ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ গ্রামের মানুষের শহরের সঙ্গে সংযোগের এবং চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এটি।
গত এক যুগেও সংস্কার বা মেরামত না হওয়ায় বড় বড় খানাখন্দ ও গর্তে পরিণত হয়েছে রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদামাটিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি।
স্থানীয় সমাজসেবক সুনাই খাঁ, মান্নাত সরদার ও আলতাফ হোসেন জানান, ব্যস্ততম এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে মাদ্রাসায় যায়। কৃষক তার পণ্য নিয়ে হাট বাজারে যান। কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এছাড়ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষকে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। পাকা রাস্তা না থাকায় এই মাটির রাস্তাই এসব মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু মেরামতের অভাবে তাও এখন চলাচল অযোগ্য। যানবাহন দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও এখন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর।
ফলে কৃষক মাঠে উৎপাদিত তাদের পণ্য বাড়িতে আনতে, হাটবাজারে নিতে পারেছ না। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চরম কষ্টে প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। এ ভোগান্তির শেষ নেই।
সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। আমরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে বহুবার আবেদন পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।
এদিকে রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ। শনিবার বেহাল রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তারা মানববন্ধন করেন। মানবন্ধনে স্থানীয় সমাজসেবক মান্নাত সরদার, সোনাই খা,আলতাফ হোসেন, সাত্তার শেখ, মহন প্রাং, ওমর প্রাং, হাফেজ আব্দুর রহমান, মহব্বত হোসেন, আবুল, সাগর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।