কোভিড-১৯ মোকাবেলায় চীনের কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল হবে বাংলাদেশে। শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর সিনোভ্যাকের ট্রায়াল চালানো হবে, পরে স্বেচ্ছায় যারা আসবেন তাদের ওপর এই ট্রায়াল চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর সিনোভ্যাকের ট্রায়াল চালানো হবে। পরে স্বেচ্ছায় যারা আসবেন তাদের ওপর।
‘আমরা চাই যেকোনো দেশের ভ্যাকসিন আসুক, তার ট্রায়াল লাগবে। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এবং পরে যারা স্বেচ্ছায় আসবেন, তাদের ওপর ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ডিটেইল আলোচনা হয়েছে। অফিশিয়ালি তাদের জানিয়ে দিচ্ছি, আপনারা ট্রায়ালের ব্যবস্থা করুন। মন্ত্রণালয় এবং আইসিডিডিআর,বি’র সহযোগিতায় এ ট্রায়াল কার্যক্রম চলবে। চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারাও চীনা সরকার এবং কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে যত তাড়াতাড়ি করা যায় তা করবেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘ট্রায়ালের যে খরচ হবে সেটাও চীন বহন করবে, এ প্রতিশ্রুতিও তারা দিয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, আমরা ট্রায়াল করার সুযোগ দেবো। কিন্তু ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে যেন বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পায়, তার ওপরে জোর দিয়েছি। এটা তাদের বলা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে আজ আলোচনা করেছি। তারা বাংলাদেশে ট্রায়াল করতে চায়। তারা আইসিডিডিআর,বি-কে ভ্যাকসিন দেবে। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীকেও প্রতিটি ভ্যাকসিন সম্পর্কে অবহিত করেছি। তিনি চিন্তাভাবনা করে আমাদের নির্দেশনা বা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পৃথিবীতে প্রায় ১৪০টি দেশ এবং কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা করছে। পাঁচ থেকে ছয়টি একেবারে তৃতীয় ধাপে রয়েছে। বাংলাদেশ ভ্যাকসিনের আবেদন করেছে গত জুলাই মাসে।