গত বছর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে বর্বরোচিত হামলার দায়ে অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন টারান্টকে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন স্থানীয় আদালত। দেশটির ইতিহাসে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
এর আগে গত মার্চ মাসে ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যার চেষ্টা এবং সন্ত্রাসী হামলার একটি অভিযোগ স্বীকার করে নেন টারান্ট।
চলতি সপ্তাহে টানা চারদিন ধরে হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি ও ভুক্তভোগী পরিবারের কয়েক ডজন সদস্য আদালতের শুনানিতে অংশ নেন। তাদের সবাই হত্যাকারী টারান্টের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
আদালতের বিচারক টারান্টের কর্মকাণ্ডকে ‘পাশবিক’ বলে মন্তব্য করেন এবং এমন জঘন্য অপরাধের শাস্তিতে কোনও ধরনের দয়া দেখানো হয়নি বলে জানান।
শুনানির শেষ দিন আদালতে পবিত্র কোরআন শরীফের আয়াত তিলাওয়াত করা হয় এবং ভুক্তভোগী ও তাদের প্রিয়জনদের ছবি প্রদর্শন করা হয়। তবে রায় ঘোষণার আগপর্যন্ত আদালতে কোনও কথা না বলার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন ব্রেন্টন টারান্ট।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নুর ও লিনউড মসজিদে হামলা চালান টারান্ট। মসজিদ দু’টিতে জুমার নামাজের সময় অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালান তিনি। হামলার ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচারও করেন। ১৭ মিনিট ধরে ওই হামলার সরাসরি ভিডিও প্রচারিত হয়।
মুসল্লিদের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একের পর এক গুলি ছুড়তে থাকেন শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী টারান্ট। এ হামলায় ৫১ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হন। এমন নৃশংস হামলায় নিউজিল্যান্ডসহ হতবাক হয়ে যায় সারাবিশ্বের মানুষ।