নরসিংদীর আদালত কার্যালয় চত্বরে জেলা প্রশাসনের কালেক্টরেট ঈদগা মাঠের গাছের নিচে বসে একটি নিকাহনামা (কোর্ট ম্যারেজ) নিয়ে পরামর্শ করছিলেন হালিমা বেগম তার বোন রত্না আক্তার (৫০) সহ কয়েকজন। এমন সময় আকষ্মিকভাবে পিছন দিক থেকে একটি প্রাইভেটকার উঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের উপর। এতে গুরুতর আহত হন হালিমা ও রত্না। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে উপস্থিত লোকজন সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিমাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ঢাকা নেওয়ার পথে হালিমার মৃত্যু হয়। নিহত হালিমা বেগম নরসিংদী সদর উপজেলার মহিষাশুরা বিলপাড় এলাকার আবু সিদ্দিকের স্ত্রী। আহত রত্না বেগম গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার আবদুস সালামের স্ত্রী।প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের ভগ্নিপতি জাকির হোসেন জানান, হালিমা আপার মেয়ের বিয়ে নিয়ে পরামর্শ করার জন্য আমরা কোর্টে আসছিলাম। আমরা কোর্টের ঈদগা মাঠে বসে পরামর্শ করছিলাম। আমাদের বসার ১০ হাত দূরে কয়েকটি গাড়ি রাখা ছিল। আমি ফোনে কথা বলতে বলতে মাঠের পাশে গিয়েছিলাম। এমন সময় হঠাৎ চিৎকারের শব্দ পেলাম। পরে দৌড়ে গিয়ে দেখি গাড়ির নিচে হালিমা আপা ও রত্না আপা। পরে তাদের গাড়ির নিচ থেকে বের করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়ির ড্রাইভার ও সাথে থাকা একজনকে আমরা আটক করি। এসময় একজন অ্যাডভোকেট আমাদের বকাঝকা করেন এবং ড্রাইভার ও গাড়ি তার জিম্মায় নিয়ে যায়। নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরি বলেন, একটি গাড়িতে তুষার নামের একটি ছেলে ড্রাইভিং শিখছিল। এমন সময় হতাহতদের উপরে গাড়িটি উঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।