দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো এবং তাদের উন্নত জীবন নিশ্চিতের ব্যাপারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শাহাদাতবার্ষিকীতে একসঙ্গে শপথ করি। পিতা, আমরা আপনার বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি এনে দেব। (যাতে) এই বাংলা বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে থাকতে থাকবে এবং বাংলাদেশের মানুষ একটি উন্নত জীবন পাবে। এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গিকার।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সয়ের মাধ্যমে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন সরকার তা করবে। জাতির পিতা বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য, বস্ত্র ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতেন।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি প্রতিশ্রুতি হিসেবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্যই তিনি (বঙ্গবন্ধু) রাজনীতি করেছিলেন।’
বিচারবর্হিভূত হত্যা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দিয়ে গেছেন জাতির পিতার হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি, আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করার ইনডেমনিটি দিয়ে গেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের (বিচারবর্হিভূত হত্যা) কথা আজ সবাই বলে। কিন্তু, সবাই ভুলে গেছে যে ২০০১ সালে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে বহু মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে যত্রতত্র যেখানে সেখানে মানুষকে ধরে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে যুবলীগের কর্মী যাকে যেখানে পেয়েছে নিয়ে হত্যা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর সেই হত্যার বিচার হবে না, সেই ইনডেমনিটিও খালেদা জিয়া দিয়ে গেছেন।’
সভার শুরুতে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য শহীদদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।