চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগের ২৪ জনের কর্মস্থল অদল-বদল করে দেয়া হয়েছে।
১২ আগস্ট বুধবার সিসিসির সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই বদলি করা হয়।
এতে বলা হয়, “রাজস্ব প্রশাসনে গতিশীলতা ও শৃঙ্খলা আনতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে পুনর্বন্টন করা হলো।”
সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী বলেন, “অনেক দিন ধরেই তারা একই জায়গায় আছেন। তাই গতিশীলতা আনতে এই পরিবর্তন। প্রশাসক চান আরো ভালো কাজ হোক। উনার নির্দেশে আমরা এই পরিবর্তন এনেছি।”
জানা যায়, বদলি হওয়াদের মধ্যে আটটি রাজস্ব সার্কেলের আটজন কর কর্মকর্তা (কর) এবং চারজন কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) আছেন। বদলি করা হয়েছে তিনজন উপ-কর কর্মকর্তাকেও। এছাড়া ছয়জন কর আদায়াকারীও বদলি হয়েছেন। তাদেরকে রাজস্ব বিভাগের অন্য সার্কেলে বদলি করে ১৬ অগাস্টের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরীতে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে ফুটপাতে ও যত্রতত্র দোকানপাট হয়েছে, যা সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানে না। বিভিন্ন অনিয়ম দূর করতে ও গতিশীলতা আনতে এই পরিবর্তন। এই পরিবর্তন অত্যন্ত স্বাভাবিক। সৌন্দর্য বর্ধনের নামে ফুটপাতে ও যত্রতত্র দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। একাজে যারা অথরিটিস সেই ডিপার্টমেন্ট কিছু জানে না।
তিনি বলেন, কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হবে। রাজস্ব বিভাগের সাথে বৃহস্পতিবার সভা করব। সিসিসির নিজস্ব আয়ের প্রধান খাত বিভিন্ন কর, যা রাজস্ব বিভাগের মাধ্যমে আদায় করা হয়।
প্রসঙ্গত, বহু বছর ধরেই কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না রাজস্ব বিভাগ। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই বিভাগের আরো বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসতে পারে বলে সিসিসির কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন।