রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজের সামনে থেকে এক কলেজছাত্রকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মতিহার থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া অপহরণে ব্যবহৃত অটোরিকশা আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২১ মে) বিকালে মহানগরীর তালাইমারী এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হল মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডী কড়ইতলার মৃত খয়রাত আলীর ছেলে জহুরুল হোসেন রেন্টু (৩৫), জেলার গোদাগাড়ী থানার মাছপাড়ার সারোয়ার হোসেনে ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩০) ও মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুরের রফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল (৩২)। আরএমপির মুখপাত্র মো. জামিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জয়পুরহাটের কালাই থানার পুনট পূর্বপাড়ার আব্দুল্লাহ আল নোমান তামিম বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। গত ২১ মে বিকালে তামিম তার বান্ধবীকে নিয়ে মহানগরীর তালাইমারী থেকে অটোরিকশায় সাহেববাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আসামি জহুরুলসহ আরও দুইজন ইসমাইল হোসেনের অটোরিকশা নিয়ে তামিমের অটোরিকশার পিছু নেয়। বিকাল ৩টার দিকে বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজের সামনে থেকে জহুরুল ও সহযোগীরা তামিমকে জোর করে রিকশা থেকে নামিয়ে অপহরণ করে। এরপর তাকে রাণীনগর এলাকার গলি রাস্তা দিয়ে তালাইমারী তিন রাস্তার মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা তামিমের বাবার কাছে মোবাইল ফোনে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ইতিমধ্যে তার বান্ধবী পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে। সংবাদ পেয়ে আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের তত্ত্বাবধানে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. মোবারক পারভেজ ও মতিহার থানা পুলিশের টিম পুলিশ দ্রুত সংবাদদাতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে অপহরণকারীদের ধাওয়া করে। পরে পুলিশ রুয়েট ফ্লাইওভারের কাছ থেকে আসামি জহুরুল ইসলাম রেন্টু ও রিকশা চালক ইসমাইলকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত তামিমকে উদ্ধার করে। এ সময় অপর দুই অপহরণকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তার আসামিদের তথ্যানুযায়ী এক আসামি রাসেলকে তার বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত জহুরুল ইসলাম রেন্টুর বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, সরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রতারণার অপরাধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আসামি রাসেলের বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা ও বোয়ালিয়া থানায় ২টি মাদক মামলা রয়েছে। অপর পলাতক অপহরণকারীর বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।