র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন খুনিয়াপালং ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডস্থ থোয়াইংগ্যা কাটা ঢালারমুখ এলাকার রমিজ হেডম্যানের প্রজেক্টের ভিতর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় বিক্রয় উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৮ মে ২০২৪ তারিখ অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সদর ব্যাটালিয়নের আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকার রমিজ হেডম্যানের প্রজেক্টের টিনের ঘরের ভিতর পৌঁছে দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর দেহ তল্লাশী করে সর্বমোট ২,০০০ (দুই হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ৪,১০০/- (চার হাজার একশত) টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা হলো মোঃ দিদার (৩৩), পিতা-ফয়েজ উল্ল্যাহ, মাতা-নুর জাহান বেগম, সাং-থোয়াইংগ্যা কাটা, ঢালার মুখ, রমিজ হেডম্যান প্রজেক্ট এর পাড়, ১নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-খুনিয়াপালং, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার। মোঃ হারুন (৩৫), পিতা-হোছাইন আহমদ, মাতা-রশিদা বেগম, সাং-দারিয়ার দিঘী, মন্ডল পাড়া, ১নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-খুনিয়াপালং, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহপূর্বক নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে স্থানীয় এলাকাসহ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতাকৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।