টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকার পৌলী রেলওয়ে সেতুর পাশে পৌলী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও পরিবহনের অপরাধে তিনজনকে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১৫ মে) এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলী নদীর মহেলা এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করে এই কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক। কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চর রাজাফৈর গ্রামের মিজানুরের ছেলে জিদান (১৯); একই উপজেলার মৎসের মন্ডলের ছেলে আব্বাস (৩২) ও কালিহাতী উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের লিটন মন্ডলের ছেলে লিমন (২৪)। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক জানান, পৌলী নদীর মহেলা অঞ্চলে অভিযান পরিচালনাকালে অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটা এবং পরিবহন কাজে তিনজন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে আটক করে ২ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে তাঁরা জরিমানার টাকা প্রদান না করায় তাদের প্রত্যেককে তিন মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করে টাঙ্গাইল কারাগারে করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে যারা মাটি ও বালু ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের এ ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে। তবে এতে করে পৌলী রেলওয়ে সেতুর পাশ থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ হবে কি? প্রশ্ন জনমনে। আগের ঘটনা উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট এই স্থানেই পৌলি রেলসেতুর দক্ষিণ পাশে প্রায় ২০-৩০ ফুট এলাকার মাটি ধসে গিয়ে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই ঘটনায় অন্তত ৩৬ ঘন্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১১ জুলাই আবার এ্যাপ্রোচে ধসের ঘটনা ঘটে। ওই সময় এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ধীর গতিতে রেল চলাচল করে। সে তিনদিন পরে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। সে সময় এলাকাবাসী জানান, একটি মাটিখেকো চক্র পৌলি রেল সেতুর পাশ থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে। পরে বর্ষার সময় পানির প্রবল স্রোতে রেলসেতুর এ্যাপ্রোচের মাটি সরে যায়। তারা আরো জানান, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সমন্বয়ে গঠিত বড় একটি সিন্ডিকেট পরিচালনা করে এই মাটি ব্যবসা। তাই এটিকে বন্ধ করা অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তারা।