র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ কর্তৃক দায়িত্বাধীন এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৪ মে ২০২৪ তারিখ অনুমান ০৯.৫৫ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের অভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে তিনজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত মাদক কারবারীদের তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিস্তারিত পরিচয়-নিয়ামত উল্লাহ (৩০), পিতা-মৃত আব্দুল শুক্কুর, মাতা আমিনা খাতুন, সাং-ডাংগরপাড়া, ০৭ নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ, কক্সবাজার। এনামুল্লাহ (২৫), পিতা-আব্দুল শুক্কুর, মাতা- রহিমা খাতুন, সাং-ডাংগরপাড়া, ০৮ নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ, কক্সবাজার। আব্দুর রহমান (২৪), পিতা-মৃত বাচা মিয়া, মাতা-হাজেরা খাতুন, সাং-মাঝেরপাড়া, ০৭ নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ, কক্সবাজার। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন পন্থায় স্থানীয় এলাকাসহ টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে থাকে। অদ্য উপরোল্লিখিত ইয়াবাসহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।