গেল এপ্রিলে সারা দেশে বিভিন্নভাবে ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এদের মধ্যে ১০৫ জন নারী ও ৮৮ জন কন্যাশিশু রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। দেশের ১৬টি দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার পেপার ক্লিপিংয়ের সংরক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতে নির্যাতনের এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে তারা। এতে বলা হয়, দেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে এপ্রিল মাসে মোট ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৬ জন, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১২ কন্যাসহ ১৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে এবং ১ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৫ কন্যা শিশু ও ৪ জন নারী। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন দুইজন নারী ও কন্যাশিশু। পাচারের শিকার হয়েছেন দুইজন নারী ও কন্যাশিশু। এসিডদগ্ধ হয়েছেন একজন। এ সময় অগ্নিদগ্ধের কারণে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এপ্রিলে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই নারী। আর যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে একজন নারীকে। ১৬ জন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে দুই কন্যাশিশুও রয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪ জন নারী। এ সময়ে এক শিশুসহ তিন গৃহকর্মী নির্যাতিত হয়েছেন এবং একজন কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছেন। পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৭ জন কন্যাশিশুসহ ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন একজন কন্যাশিশু। দুইজন কন্যাশিশুসহ ১৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর ছয়জন কন্যাশিশুসহ ১৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। তিনজন কন্যাশিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু এপ্রিল মাসে ফতোয়ার মুখোমুখি হয়েছেন দুইজন নারী। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ১২টি। সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন তিনজন কন্যাশিশুসহ ৫ জন। এছাড়াও ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ১২ জন নারী ও দুইজন কন্যাশিশু।