ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ১২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোর আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার বিশ্বরোড মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামের বাসিন্দা ১। মোঃ বলু মিয়ার ছেলে-মাসুক মিয়া (৪০) ও ২। ছাদেক (৩৫),৩। ছোলমান শিকদারের ছেলে- কাসেম শিকদার (৪০), ৪। মোঃ নান্নু মিয়ার ছেলে-অহিদ মিয়া (৪৫), ৫। মোঃ ছোলমান শিকদারের ছেলে-ছারু শিকদার (৩৫), ৬। মোঃ ছুর রহমানের ছেলে-শাহদত খাঁ (৪০), ও ৭। সুজন মিয়া (৪০), ৮। মৃত মিয়া বালীর ছেলে-খোকন মিয়া (৪০),৯। শানু মিয়া (৩৮), ১০। সুজন মিয়া (৩২), ১১। মৃত জলফু মিয়ার ছেলে-বিল্লাল মিয়া (৪০), ১২। মোজাম্মেল সরকারের ছেলে- মোঃ নছরু সরকার (৩৬)। উল্লেখ্যঃ গত ১৩ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভিকটিম কামাল মিয়াকে বিরোধী পক্ষের লোকজন এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করলে ভিকটিমের চিৎকার শুনে তার ছেলেসহ অন্যান্য প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। পরে বিরোধী পক্ষের লোকজন ভিকটিম ও তার ছেলেসহ অন্যান্যদের এলোপাতাড়ি মারধরের মাধ্যমে গুরুতর জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ভিকটিম কামাল মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে তোফায়েল মিয়া বাদী হয়ে ১১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৫৫ জনের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানায় গত ১৫ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি তাৎক্ষনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এই হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্ত শুরু এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। জানতে চাইলে র্যাব-৯ সিলেট এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সুহেল বলেন, এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি অভিযানিক দল মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটের দিকে সদর থানাধীন বিশ্বরোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার ১২ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়। এবং মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।