গতকাল দুপুরে লবণচরা থানার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টুংগীপাড়া এক্সপ্রেসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯০৩৩) একজন ব্যক্তি সন্দেহজনক কোন বস্তু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক লবণচরা থানার একটি বিশেষ চৌকস টিম নগরীর জিরোপয়েন্ট মোড়স্থ খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশের রূপকথা রেষ্টুরেষ্টের সামনের পাঁকা রাস্তার উপর থেকে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহন থামিয়ে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা, সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) গোপীনাথ কানজিলাল, লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হক, এবং এসআই (নিঃ) প্রদীপ বৈদ্যসহ সঙ্গীয় ফোর্সবৃন্দ সেখানে অগ্রিম অবস্থান নেন। অতঃপর স্থানীয় জনগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মুখে বাসটিতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে পরবর্তীতে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহনের বিভিন্ন স্থান এবং যাত্রীদের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশিকালে মাসুম বিল্লাহ (২৮) পিতা-মোঃ আলম গাজী, মাতা-রাশিদা বেগম, সাং-শাখরা কমলপুর, থানা-দেবহাটা, জেলা-সাতক্ষীর নামক এক ব্যক্তির আচরণ ও কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হয়। অতঃপর উপস্থিত বাসযাত্রী ও জনগণের সম্মুখে হতে প্রকাশ্যে তার দেহ তল্লাশীকালে এক পর্যায়ে তার স্বীকারোক্তি মতে তার দুই পায়ে পরিহিত চকলেট রংয়ের জুতার (লোফার) এর ভিতরে সুকৌশলে সাজিয়ে রাখা (৬+৬)=১২ (বার) স্বর্ণের পিস পাওয়া যায়। যার প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ছিল ১১৬.৬৫ গ্রাম এবং সর্বমোট ১২ পিস স্বর্ণের ওজন ১৩৯৯.৭৪ গ্রাম, যার সর্বমোট আনুমানিক মূল্য ১,৩৪,৪০,৩০৩/-(এক কোটি চৌত্রিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার তিনশত তিন টাকা)।