র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদকদ্রব্য সরবরাহ ও ছিনতাইকারীসহ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। র্যাবের এই অভিযানিক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কদমতলী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করাকালীন চাঁদা উত্তোনকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা মোঃ সুজন (২৪), পিতা-মকবুল আহম্মেদ, সাং-চরমানিকা, থানা-চর ফ্যাশন, জেলা-ভোলাসহ ০৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামিদের নাম মোঃ জানে আলম (৩৮), পিতা-মৃত শামসুল হক, সাং-আলমবাগ, থানা-কদমতলী, ঢাকা ও মোঃ ফেরদৌস (২০), পিতা-মোঃ দেলোয়ার আকন, সাং-দক্ষিণ ফুলতলা, থানা-বেতাগী, জেলা-বরগুনা বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ১,১০০/- (এক হাজার একশত) টাকা ও ০৩টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর কদমতলীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত সুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজিসহ দুইটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।