র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ মাঝরাতে ফরিদপুর জেলার সালথা থানাধীন হরিনা এলাকার মোহাম্মদ সাইফুজ্জামানের বসতবাড়ী এবং একই থানাধীন হোগলাকান্দি এলাকার হাফেজ আতিকুর রহমান তালুকদারের বসতবাড়ীতে অজ্ঞাত ডাকাতরা ডাকাতি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ১৭,৮৪,৮০০/- (সতের লক্ষ চুরাশি হাজার আটশত) টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন প্রকার মালামাল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম মোঃ সাইফুজ্জামান (৬০), পিতা-মৃত অহিদুর রহমান, সাং-হরিনা, থানা-সালথা, জেলা- ফরিদপুর বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার সালথা থানায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং-১০, তারিখ-০৬/০২/২০২৪ই, ধারা-৩৯৫/৩৯৭, পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত ঘটনায় জড়িত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অধিনায়ক র্যাব-১০ মহোদয় বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র্যাব-০৮ এর সহযোগীতায় মাদারীপুর জেলার সদর এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আলোচিত ডাকাতি মামলার ঘটনায় জড়িত আসামি কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোঃ রায়েব আলী সরদার (৪২), পিতা-মোজাম সরদার, সাং-হাসনাহাটি, থানা-নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুর এবং তার প্রধান সহযোগী আসামি মোঃ আশরাফুল হোসেন শেখ (৩০), পিতা-আবুল হাসেম শেখ, সাং-ছাগলদী, থানা-নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুরদ্বয়’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত রায়েব আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ০৯টি মামলা এবং আশরাফুল হোসেনের বিরুদ্ধে চুরি ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ মোট ০৪টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।