গাজীপুরের শ্রীপুরে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতারের পর চোরাইকৃত ১০টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। বুধবার (২০মার্চ) বেলা ১২টায় শ্রীপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান,গাজীপুর জেলা পুলিশের কালিয়াকৈর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন বলেন, গত ১০ মার্চ রাত দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে এসএম পলাশের মালিকানাধীন একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর তদন্তে নামে শ্রীপুর থানা পুলিশ। তদন্তে নেমেই পুলিশ মোটর সাইকেল চোর চক্রের বড় এক সিন্ডিকেটের সন্ধান পায় এবং শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাওনা এলাকা থেকে আর একজনকে গ্রেফতারের পর গাজীপুরের শ্রীপুর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের সদর, করিমগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তাদের দেয়া তথ্য মধ্যে ১০টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা হল কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার ফিসারী রোড় এলাকার সিরু মিয়ার ছেলে শিপন হোসেন (৩০) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার আলীহরগাতি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে দুরন্ত খান (৩০), ময়মনসিংহের নান্দাইলের বৈতাগৈর গ্রামের চন্দন সরকারের ছেলে রঞ্জিত সরকার (২৯), নেত্রকোনার পশ্চিম বিলাশপুর গ্রামের মো. মুন্নাফের ছেলে রিপন মিয়া (২১) ও ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সাগর (২১)। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজামান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, শেরপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন জায়গাতে বিক্রি করে থাকে। এরা সংঘবদ্ধ আন্তজেলা চোর চক্র। শিপন মিয়ার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। সে ৫/৬বছর যাবৎ মোটরসাইকেল চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল গুলো আদালতের মাধ্যমে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।