হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০ পিস স্বর্ণেরবারসহ গ্রেফতার নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল (৫১) ও রিসিভার কামাল হোসেনের (২৯) তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ রোববার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে । এরপর বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সদস্যরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০ পিস স্বর্ণেরবারসহ তাদের গ্রেফতার করে। যার ওজন ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম। বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
গ্রেফতার হেলাল নোয়াখালীর বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামের মুর্শিদ আলমের ছেলে। রিসিভার কামাল হোসেন চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামের আ. করিমের ছেলে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, শাহজালালে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্যান্য দিনের মতো শনিবার ডিউটিতে আসেন। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন। এরপর এপিবিএন ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দা সদস্যরা হেলালকে নজরদারিতে রাখেন। এসময় তাকে ডমিস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় উঠতে দেখা যায়। এরপর বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা অটোরিক্সার গতিরোধ করেন এবং তাদের এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর রিসিভার কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা কাঁধ ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।