গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিক আবদুল্লাকে(২৬) ছুরিকাঘাতে হত্যার চারদিনের মাথায় দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। বুধবার(১৩মার্চ) রাত পৌনে এগারোটার দিকে ঢাকাস্থ দক্ষিন খান থানার আবদুল্লাপুর আটিপাড়া এলাকার জনৈক সুজনের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কৃতরা হলো উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪৫) ও মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে এছানুল হক(২৪)। নিহত আবদুল্লা ওই গ্রামের মো. সাদত আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউরিনিট নামক পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন।
এর আগে গত নয় মার্চ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম ও এছানুল হক সহ অন্য অভিযুক্তরা আবদুল্লাহে ছুরিকাঘাতে করে । মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথারি মারপিট করে পালিয়ে যায়। নিহত আব্দুলা (২৬)কে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে পরদিন শ্রীপুর থানায় গ্রেফতার দুই আসামী সহ আটজন এবং অজ্ঞাত ৫/৬জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নং ১৮(৩)২৪ দায়ের করেন।
র্যার-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর জুন্নুরাইন বিন আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুই আসামী গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করেন।
র্যাব আরো জানায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে রাজধানির দক্ষিখান থানার আবদুল্লাপুর আটিপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের শিকারোক্তির বরাত দিয়ে র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতার শহিদুল প্রাথমিক ভাবে শিকারোক্তি দিয়েছে, জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের কারণে শহিদুল ইসলাম আবদুল্লাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই প্রেক্ষিতে( ৯ মার্চ)বিকেলে উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের মেধাবিকাশ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্টানে যায় আবদুল্লা। পাশের সুরুজের দোকানে বসে চা পান করছিলেন তিনি। শহিদুল ইসলামের পরিকল্পনা মতে সহযোগী রফিক আবদুল্লাকে ডেকে ওই দোকানের পেছেনের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। এসময় পূর্ব থেকে উঁৎপেতে থাকা শহিদুলও এছানুল তাকে ছুরিকাঘাত করে। অন্য আসামীরা আবদুল্লার মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথারী মারপিট করে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার কৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করেছেন বলেও নিশ্চিত করেছে র্যাব-১