সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইমালসহ চোর সিন্ডিকেটের ৮ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-১২ সদস্যরা। এ সময় ৪টি ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১২’র কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়ড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সরাতৈল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে দোকানদার মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৫), রায়গঞ্জ উপজেলার বাশুলিয়া গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে দোকানদার মো. হাফিজুল ইসলাম (২১), সলঙ্গা থানার ধোপাকান্দি গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে দোকানদার মো. মিরাজুল ইসলাম (২১), একই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে দোকানদার মো. নুর ইসলাম (২৬), জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার ইটাখোলা বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে চালক মো. ইমরান হোসেন (৩৫), দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি থানার রাজারামপুর এলাকার হাইকুল ইসলামের ছেলে চালক মো. আলমগীর হোসেন (২৪), একই থানার ভূজারীপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে চালক খোরশেদ আলম (৩০) ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার পশ্চিম মলানী গ্রামের হাফেজ আলীর ছেলে চালক মো. জসিম উদ্দিন (২৪)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীণ পণ্য (রড, গম, চাল, কয়লা) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে লোড করে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ধোপাকান্দি এলাকার মহাসড়কের উভয়পাশ্বে স্থায়ী/অস্থায়ী টিনশেড ও পাকা বিল্ডিংয়ের দোকানঘরে কালোকাপড় দিয়ে ঢেঁকে চোরাইভাবে পণ্যগুলো বিক্রয় করে আসছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (১১ মার্চ) ভোর রাতে মহাসড়কের হাটিকুমরুল এলাকার এরিস্টোক্রেট হোটেলের পেছনে ফরিদুল ইসলামের ৫তলা বিল্ডিংয়ের নীচতলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ট্রাক চালক জসিম ও চালক খোরশেদ ৩৯১ কেজি চোরাই রড গোডাউনের মালিক আসামি নুর ইসলামের নিকট বিক্রয় করার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে একই এলাকায় আশরাফুলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ইমরানের নিকট থেকে সরকারি খাদ্য গুদামের ছয় বস্তা চাল (১৮০ কেজি), আসামি আলমগীরের নিকট থেকে ৩৭ কেজি চোরাই গম ও আসামি মো. হাফিজুল ইসলাম ও মো. মিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৯০ কেজি কয়লা ও নগদ ৮৪ হাজার ৪শ টাকাসহ ক্রয়-বিক্রয় করার সময় তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পণ্য (রড, গম, চাল, কয়লা) পরিবহণকালে মালিকের অগোচরে ট্রাক থেকে অসাধুভাবে চুরি করে বিক্রয় করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।