গাজীপুরের কালীগঞ্জে করোনার কারণে দীর্ঘ দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিজুর রহমান। পিছিয়ে পড়া ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যা নিরসনকল্পে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার পিছিয়ে পড়া স্কুলের তালিকায় রয়েছে উত্তর রাজ নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ রাজ নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৌচান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিরুয়া নলছাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একতা-দিঘুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামালপুর বাগমারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালীগাও শামসুন্নাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাদার্ত্তী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৈতারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়গুলি পিছিয়ে পড়ার কারণ জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুন্নাহার প্রতিবেদককে জানান, শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব, শিক্ষার্থীর নগন্য সংখ্যা, ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী কম, শিক্ষক স্বল্পতা, শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত উপস্থিতি, কেজি স্কুল বা মাদ্রাসার দৌরাত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই বিদ্যালয়ের সমস্যার সমাধান কল্পে বিশেষ মনিটরিং টিম গঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত রাখা, পাঠদানের সময় শিক্ষকদের পোষাক ও মোবাইল ফোন ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এছাড়া মা ও অভিভাবক সমাবেশ, উঠান বৈঠক, হোম ভিজিট, শিক্ষা ক্রমিক কার্যক্রম জোরদার, শিক্ষক ডেপুটেশন থেকে নিজ বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া স্কুল ও শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তিনি আরোও বলেন, পরিদর্শন করা স্কুলগুলি সামগ্রিক মূল্যায়ন করা হবে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের পাঠদান কৌশল ও প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে তদারকি বাড়ানো হবে। শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সম্পর্ক যাচাইয়ের পাশাপাশি পিটিএ কমিটিকে সক্রিয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিক ভাবে অন্যান্য স্কুলগুলি নিয়ে কাজ করা হবে। ইউএনও মো. আজিজুর রহমান সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও সম্মাননা লাভ করেন। সম্মাননা প্রদান করেন প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান জেলা বাছাই কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদ ভূঁইয়া। তিনি ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে পদোন্নতি পেয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন।