জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভুত শিক্ষক নিয়োগ করে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার বানিয়াবাড়ী মোঃ আব্দুল মজিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৪ ইং সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মোঃ আখতার হোসেন। ঐ বছর তিনি ১ম এমপিও ভুক্ত হয়। কিন্তু ২০০৫ইং সালে উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান ভালো না থাকার কারণে এমপিও স্থগিত করে কতৃর্পক্ষ। ঐ বিদ্যালয়ের এমপিও নিবন্ধনকৃত শিক্ষক আখতার হোসেন দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা না করে পুনরায় ২০১৩ইং সালে ইসলামপুর উপজেলার উলিয়া এএম উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং ২০১৬ইং সালে পুনরায় এমপিও ভুক্ত হয়ে সরকারের বেতন ভাতাদি প্রাপ্ত হয়। তার আগের নিয়োগের তথ্য গোপন করে ঐ নিবন্ধন দিয়ে নিয়োগ পেলেও বেতন বন্ধের তথ্য গোপন রাখেন। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪/০৩/২০১৩ইং তারিখে জারীকৃত জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকার ১২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নির্দেশনা মোতাবেক চাকুরীতে ইৎবধশ ড়ভভ ঝবৎারপব বলে গণ্য হয়। যার কারণে তার ইনডেক্স নাম্বার স্বাভাবিকভাবে কার্যকর থাকে না। নতুন প্রার্থী হিসেবে ২০০৫ সালে জারীকৃত শিক্ষক নিবন্ধন আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত হওয়া বাধ্যতামূলক ভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি উলিয়া এএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পুনরায় মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ২০২০ ইং সালে যোগদান করেন এবং ২০২১ সালে এমপিও ভুক্ত হন। যা সরকারের সাথে প্রতারণার সামিল। এই নিয়ে মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ শহিদুর রহমান বলেন। শিক্ষক আখতার হোসেনের প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে আমি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আশা করি তদন্ত সাপেক্ষে সে তার শাস্তি পাবে। এই বিষয়ে মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু সাইদ সাদা বলেন আক্তার হোসেনের নিয়োগ আমি দেয় নি। সে সময় হামিদুর রহমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। কিভাবে নিয়োগ হয়েছে আমি জানি না। তবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অভিযুক্ত শিক্ষক আখতার হোসেন বলেন আমি ট্রেনিং এ ব্যস্ত আছি, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো। জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইভা বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।