হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে ফেনী শহর জামায়াতের এক মত বিনিময় সভা ফেনী শহরের সালাম কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। জামায়েতে ইসলামী ফেনী শহর আমীর মোহাম্মদ ইলিয়াসের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য একেএম শামছুদ্দিন। শহর জামায়াতের সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলামের সন্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারী আনম আবদুর রহিম, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ফেনী জেলা সভাপতি অজিত বরণ দাস, সহ-সভাপতি বলরাম দেবনাথ,জোটের সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বনিক, জামায়াত নেতা মনির চৌধুরী প্রমুখ। জেলা আমীর একেএম শামছুদ্দিন বলেন, আগষ্ট বিপ্লবের পর এদেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি উপাসনালয়,তাদের বাড়ী ঘর,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগলে রেখেছিল জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। দিনরাত পাহারা দিয়েছে,অভয় দিয়েছে এই দল। কয়েকদিন পরেই স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের ঘরেঘরে আমরা ত্রান পৌঁছে দিয়েছি। যত দূর্গম এলাকাই হোক আমাদের কর্মীরা সেখানে পৌচেছে।আমরা কে হিন্দু কে মুসলমান সে বিচার করিনি।বিপন্ন মানুষের পাশে জামায়াত সব সময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। একাত্তরের স্বাধীনতার পর থেকে জামায়াতকে সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে চিত্রিত করার জন্য ভারতের উস্কানী এবং অর্থায়নে একটি গোষ্ঠী সব সক্রিয় ছিল। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেছে তারাই হিন্দুদের জায়গাজমি জবর দখল করেছে,তারাই বারবার হিন্দুদের মন্দিরে হামলা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে। তারাই সংখ্যালঘু বলে আপনাদেরকে ছোট করে রেখেছে। তিনি বলেন, এদেশে সংখ্যালঘু বলে কেউ নেই। সবাই এদেশের নাগরিক,সবাই ভাইভাই।আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলি। জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অজিত বরন দাস বলেন,আগষ্ট বিপ্লবের পর জামায়াত যেভাবে রাতদিন আমাদের পাশে থেকে আমাদের জানমাল রক্ষা করেছে এটা ছিল আমাদের কল্পনাতীত।এই দলের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ। জামায়াত সম্পর্কে জানার,বুঝার বা জামায়াতের সাথে মিশার কোন সুযোগ অতীতে ছিলোনা। আমরা ভয়ে জামায়াত থেকে ভয়ে দূরে থাকতাম। এখন কাছ থেকে দেখার পর আমাদের ভুল ভেঙ্গেছে।