সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাট জেলায় আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে তা সমাপ্তি ঘঠবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গোৎসব আবহমান বাংলার শ্বাশত সংস্কৃতির অংশ। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গ্রামগঞ্জে সর্বত্রই বিরাজ করছে শারদীয় দূর্গাপূজার আনন্দ উৎসবের। লালমনিরহাট জেলায় এবারে মোট ৪ শত ৭৩ টি পূজা মন্ডবে দূর্গোৎসব চলবে। তন্মধ্যে লালমনিরহাট পৌরসভা এলাকায় মোট ২৫ টি, মোগলহাট ইউনিয়নে ২১ টি, কুলাঘাট ইউনিয়নে ১২ টি, বড়বাড়ী ইউনিয়নে ৯ টি, হারাটি ইউনিয়নে ১৫ টি, গোকুন্ডা ইউনিয়নে ২০ টি, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে ২১ টি, রাজপুর ইউনিয়নে ৮ টি, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে ১৪ টি, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে ১৫ টিসহ লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মোট ১শত ৬০ টি। আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপূর ইউনিয়নে ১০ টি, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৪ টি, কমলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৬ টি, সারপুকুর ইউনিয়নে ২৪ টি, সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নে ৫ টি, ভাদাই ইউনিয়নে ৩১ টি, পলাশী ইউনিয়নে ১১ টি, মহিষখোচা ইউনিয়নে ৫ টিসহ মোট ১শত ১৬ টি পূজা মন্ডব প্রস্তুতি নিয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নে ৫ টি, মদাতী ইউনিয়নে ১৫ টি, তুষভান্ডার ইউনিয়নে ১২ টি, দলগ্রাম ইউনিয়নে ৯ টি, কাকিনা ইউনিয়নে ৭ টি, চলবলা ইউনিয়নে ১৭ টি, গোড়ল ইউনিয়নে ১৬ টি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নে ১৩ টিসহ মোট ৯৪ টি। হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নে ২ টি, ফকিরপাড়া ইউনিয়নে ৪ টি, গড্ডিমারী ইউনিয়নে ১ টি, সিংগিমারী ইউনিয়নে ২ টি, টংভাঙ্গা ইউনিয়নে ১৭ টি, সিন্দুর্না ইউনিয়নে ৪ টি, পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে ৪ টি, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৩ টি, নওদাবাস ইউনিয়নে ১২ টি, গোতামারী ইউনিয়নে ১০ টি, ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে ১৩ টিসহ মোট ৭৩ টি। পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম পৌরসভায় ৪ টি, পাটগ্রাম ইউনিয়নে ২ টি, শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ২ টি, বুড়িমারী ইউনিয়নে ১ টি, জগতবেড় ইউনিয়নে ৬ টি, জোংড়া ইউনিয়নে ৬ টি, বাউড়া ইউনিয়নে ৮ টি, দহগ্রাম ইউনিয়নে ১ টিসহ মোট ৩০ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে। উল্লেখ্য বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।এদিকে দূর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম। উক্ত সভায় পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম জেলার শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের নিকট হতে তাদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা শুনেন এবং সে মোতাবেক সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এছাড়াও দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সমসাময়িক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। দুর্গোৎসব চলাকালীন সময়ে কোন তৃতীয় পক্ষ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে এবং পূজামন্ডপ গুলোকে ১ শত ভাগ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্দির কমিটিকে অনুরোধ করেন। দুর্গোৎসব চলাকালীন কোন বিশৃঙ্খলা বা আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটলে যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট থানা ও পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন।