সিরাজগঞ্জ শহরের সাহেদনগর-ব্যপারীপাড়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা এবং উস্কানি দাতার ইন্ধনে চলাচলের রাস্তা জবর দখল করে রাতের আধারে প্রাচীর নির্মাণ করতে বাধা দেয়ায় পতিপক্ষের হামলা মারপিটে রক্তাক্ত আহত দুই সহধর ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, শহরের সাহেদনগর- ব্যপারীপাড়া মসজিদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে বিগত ১৯২৯ সালে অমেদ আলী সরকার তার স্ত্রী সেফাতুন্নেছার নামে ২২ শতক জায়গা ক্রয় করে। ওই ২২ শতক জমি সেফাতুন্নেছা তার নাতনী রাবেয়া সরকার ও তার স্বামী গোলাম মোস্তফার নামে ২২ শতক জমি দান ও বিক্রয় কবলায় দলিল করে দিলে পরিবার পরিজন নিয়ে ওই জমিতে ১৯৬৫ সন থেকে বসতি স্থাপন করে। সম্মুখের জমির মালিক ওমর আলী ওই জমি থেকে ১৯৭৮ সালে ১২ পয়েন্ট ৩৪ শতক নুরুল হুদা ভুইয়া ও আব্দুর রহিম এবং হবিবরের নিকট ৫ পয়েন্ট ৬৬ শতক জমি বিক্রয় করে। অবশিষ্ট জমি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিছন দিকে বসবাসকারী রাবেয়া সরকার ও গোলাম মোস্তফাদের প্রধান সড়কে যাতায়াতের জন্য পায়ে হাটার জমির মাঝামাঝি স্থানে প্রায় ৬ ফুট প্রসস্থ একটি রাস্তা করে দেয়। রাস্তাটি নিচু হওয়ায় বৃষ্টিতে পানি জমে থাকতো। ওই নিচু রাস্তাটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের এক পর্যায়ে ২০১২ সালে পৌরসভায় রাস্তাটি সংস্করণের দাবি জানালে পৌর কর্তৃপক্ষ সিডিসি প্রকল্পের আওতায় নিচু কাঁচা সড়কটি মাটি ভরাট করে পাকা ও ঢালাই করণ সময়ে অপর অংশের জমির মালিক মৃত্যু নুরুল হুদার ছেলে নাসিরুদ্দিন/আলাউদ্দিন গংদের উপস্থিতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় পানি/গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন রাস্তার নিচে দিয়ে রাস্তা করায় শান্তিপূর্ণ ভাবে উভয়েই দীর্ঘদিন যাবৎ এই সড়কটি ব্যবহার করে আসছিল। কিছুদিন আগে নাসিরুদ্দিন গং এর ৫ অংশীদার পাকা ভবনসহ ১২ পয়েন্ট ৩৪ শতক জমি থেকে আসলাম ব্যপারীর নিকট ৪ পয়েন্ট ১০ শতক ও গোলবার হোসেন অনন্তর নিকট ৪ পয়েন্ট ৪৬ শতক জমি বিক্রি করে তারা অন্যত্র চলে যায়। এতে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল ঈশ্বান্বীত হয়ে উভয়ের মাঝে কলহ সৃষ্টির লক্ষ্যে যাতায়াতের সড়কে প্রচীর নির্মাণসহ নানা ভাবে দ্বন্দও প্রতিবন্ধকতা সৃস্টির পায়তারা করে আসছে। ভুক্তভোগী পরিবারের শাহ জামাল ও ছোটভাই গোলবার হোসেন অনন্তর জানান, গত (২০ অক্টোবর ২০২৩) শুক্রবার গভির রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ছোট ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাড়িতে আসার সময় দেখতে পায় মৃত আলাউদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে রমজান আলী ও রোকন এবং স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী হবিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানার নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জন মিলে পৌর কর্তৃপক্ষ সিডিসি প্রকল্পের আওতায় পাকা করনকৃত রাস্তাটি জবর দখলের পায়তারায় রাতের আধারেই প্রাচীর নির্মাণ করছে। এতে সে পাকা সড়কে প্রাচীর নির্মাণে নিষেধ করে। এতে উভয়ের মধ্যে বাগবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। কলহের সংবাদ পেয়ে ওয়াদুদের বড়ভাই শাহ জামাল ও জমির মালিক গোলবার হোসেন অনন্তর ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে মাসুদ রানার নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জন মিলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে। তাদের আঘাতে বড়ভাই শাহ জামাল ও গোলবার হোসেন অনন্তরকে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তাদের আত্মচীৎকারে পরিবারের নারী সদস্যসহ অন্যান্যরা এগিয়ে এসে ছোট ভাই ওয়াদুদ, বড়ভাই শাহ জামাল ও গোলবার হোসেন অনন্তরকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে বড়ভাই শাহ জামাল ও গোলবার হোসেন অনন্তরকে রক্তাক্ত মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় এলাকাবাসী নির্মিত প্রাচীর ভেঙে রাস্তাটি উদ্ধার করে। এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যপারে রবিবার (২২ অক্টোবর) আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করে দোষীদের সাস্তির দাবী জানিয়েছেন।