অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে অর্ধশত গ্রামের ১ লাখ মানুষ চরম দুভোর্গে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ৪ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ও ৭০ হেক্টর জমির শাক-সবজি। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ। এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য খোলা হয়েছে তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুম। ফারার সার্ভিস জানায়, উপজেলার হাটপাগলা গ্রাম থেকে বন্যার স্রোত দিয়ে হেঁটে সড়কে আসার পথে পানির প্রবল স্রোতে ডুবে গত রবিবার সকাল ১০ টার দিকে একজন নিখোঁজ হন । পরে ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে বিকেল ৪টার দিকে ঐ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহত ব্যক্তির নাম তৌহিদুল ইসলাম (৪০)। তিনি নকলা উপজেলার জালালপুর গ্রামের মানিক শেখের ছেলে। তিনি ফুলপুরের ছনধরা ইউনিয়নের হাটপাগলা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আসেন পানিবন্দী শাশুড়ীকে উদ্ধার করতে। পরে পানিতে ভেসে যান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার ব্যাপক অবনতি হয়েছে। উজানের পানি ধেয়ে আসছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ছনধরা ও সিংহেশ্বর ইউনিয়নের দিকে। এতে বন্যার আরও অবনতি হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। পানি বাড়ছে ফুলপুর ইউনিয়নেও। চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে রওয়া বন্দের কৃষকের স্বপ্ন আমন ধান। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে- রোববার দিনব্যাপী ছনধরা ও সিংহেশ্বর ইউনিয়নে বন্যার্তদের উদ্ধার কাজ চালানো হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান কামু জানান, আংশিক মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান বন্যায় তলিয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যার্তদের উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি আরও প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র আগতদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।