হাটহাজারীতে ইয়াছমিন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডস্থ নবী মিস্ত্রির বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত ওই বাড়ির আবুল কাশেম প্রকাশ মানিকের স্ত্রী। নিহতের মোহাম্মদ ও মাহমুদ নামে বারো ও আট বছরের দুই পুত্র সন্তান এবং এক বছর তিন মাস বয়স্ক মাহমুদা নামে এক কন্যা সন্তান আছে। সরেজমিনে নিহতের জা রুমানা আক্তার জানান, বিকেলে উনার বড় মেয়ে ও নিহতের দুই পুত্র প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পর রুমে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিকাল চারটা ২৫ মিনিটের দিকে তার ছয় বছর বয়স্ক মাহাতিরা ডেকে বলেন, মেঝ আম্মু (নিহত ইয়াছমিন) বিছানার উপর কেমন করে দাড়িয়ে আছেন। দ্রুত তার রুমে গিয়ে দেখি রুমের তীরের সাথে গলায় উরনা প্যাঁচিয়ে ঝুলে আছে। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন। তবে কি কারণে এমন মৃত্যু তা জানেন না। নিহতের শ্বাশুড়ি লায়লা বেগম বলেন, আমি পাশের রুমে ছিলাম। শুনেই নিহতের রুমে গিয়ে দেখি ঝুলে আছে। এদিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নিহতের পিত্রালয়ের পরিবারের সদস্যরা। নিহতের বড় ভাই মোঃ ইয়াহিয়া খাঁন বলেন, তার বোনকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিয়ের পর থেকেই সে শারীরিক নির্যাতন করত। কয়েকবার বিচার সালিশও করা হয়েছে। স্বামী এক সময় মসজিদে ইমামতি করলেও দীর্ঘদিন ধরে বেকার ঘুরছিল। কয়েকমাস আগে তাকে হাটহাজারী মাদ্রাসা এলাকা একটি মার্কেটে দোকানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। মাসখানিক ধরে কখনও দুই লাখ কখনও এক লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এনিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছিল বলে তার বোন তাদের জানান। বিয়ের পর থেকে কেবল বোনের শান্তির জন্য প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় সদাই করে দেয়া হত। বোন হত্যায় থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই বাকী পদক্ষেপ নেয়া হবে।