ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার, ৮নং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম রাজিবপুর (খরিয়ার ভিটা) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণে। গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার (খরিয়ার ভিটা) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির দ্বিতল ভবনের নির্মাণকাজ করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এলজিইডি অফিসের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টির দ্বিতল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের উদাসীনতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানটি তাদের ইচ্ছে মতো কাজ করছে। ফলে ভবনের কাজের মান ভালো হচ্ছে না। কাজ শেষ না হতেই ভবনের লিংটন ও সান সাইড বেঁকে গেছে। অত্র স্কুল কমিটির সভাপতি,তোকাব্বার হোসেন দৈনিক নবচেতনাকে জানান, ৯৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। ঢালাই গার্ডার, ঢালাই বিম, সাইড বিম, লিংটন ও দ্বিতীয় তলা ভবনের ছাদ ঢালাইকাজে ব্যাবহার করা হয়েছে স্হানীয় ঘাঘট নদীর বালু ও রাবিশ মিশ্রিত মরা পাথর, নিম্নমানের রড। ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃআতাউর রহমান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী, মোঃ সাইফুল ইসলামকে একাধিক বার কাজের মান ভালো করতে বলা হলেও তিনি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন।এলাকার সমাজ সেবক,ছাত্রনেতা এসকে শাহীন লাবন জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি অফিসের উদাসীনতায় মিক্সিংমেশিন ব্যাবহার না করে কোদাল দিয়ে দায়সারা ভাবে ভবনটির কাজ করা হচ্ছে। এবং রাবীশযুক্ত মরাপাথর, নিম্নমানের বালু ব্যাবহার করা হচ্ছে। ফলে ভবনের কাজ শেষ না হতেই ভবনের বিভিন্ন জায়গা বেঁকে গেছে। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের নিকট অবহিত করা হলে তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা র নিকট অবগত করেন । ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ঘটনা স্হলে গেলে নাম প্রকাশে একাধিক ব্যাক্তি জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যার এসেছিলেন তিনি ভবনের কাজের মান ভালো করতে বলেছেন। অত্র ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাইফুল ইসলামকে নিম্নমানের সানসাইড, লিংটনগুলি ভেঙ্গে ফেলারও নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্টানটি পিলার এবং লিংটন না ভেঙ্গে জোরাতালির ম্যাধ্যমে দায়সারা ভাবে কাজ করছেন। এব্যাপারে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জানান,আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছি তিনি ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করতে বলেছেন। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি অফিসার বলেন,সব সমস্যার সমাধান করার পর কাজ চালু হবে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে শিক্ষা ভবন নির্মাণ কাজে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট সকলকে কারণ দর্শনোর নোটিশ ও আইনানুযায়ী জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এলাকার সচেতন মহলের দাবী।