মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার “গ্রাম হবে শহর” এর আলোকে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে আধুনিক মানের হাট ভবন নির্মাণ শুরু করে, সরকারের লক্ষ্য এসব হাট ভবন নির্মাণ ফলে, গ্রামাঞ্চলের মানুষ গুলো বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সেবা পেয়ে থাকবে, এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সাল থেকে সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে ছয়টি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলেও আজও শেষ হয়নি কাজ। ফলে থমকে আছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অরঙ্গীকার “গ্রাম হবে শহর” প্রকল্পের হাট ভবন নির্মাণ কাজ। এতে জনমনে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, “দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্পে গত ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩ সালের চলতি মাসের চলমান কাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ। জেলায় ৬টি হাট সেট নির্মাণ করা হচ্ছে। যার এক একটি ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা করে, আকার ভেদে কিছু উপজেলায় কম-বেশি আছে। হাট সেট গুলোতে রয়েছে উন্নত মানের সোলার সিস্টেম এছাড়া দ্বিতীয় তলায় থাকবে বিভিন্ন শ্রেণীর আধুনিক দোকান, যাতে মানুষ সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এই সমূস্ত হাটের নতুন দোকানগুলো থেকে সংগ্রহ করে তাদের দৈনন্দিন চাহিদার সকল দ্রব্যাদি মিটাতে পারে। আরও জানা যায়, প্রাথমিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে জেলার সদর উপজেলার চন্ডীদাস গাতি বাজার হাট ভবন, রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুকড়া বাজার হাট ভবন, তাড়াশ উপজেলার গুলটা বাজার হাট ভবন, উল্লাপাড়া উপজেলার প্রতাপ বাজার হাট ভবন, বেলকুচি উপজেলার সমেশপুর বাজার হাট ভবন নির্মাণ কাজ এখনো শুরুই হয়নি এবং কামারখন্দ উপজেলার পায়কৌশা বাজারে উন্নত আধুনিক মানের সুসজ্জিত হাটের ভবন গুলো কাজ চলমান রয়েছে। এসব এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় জনগন ভোগান্তিতে পড়েছেন চরমে। স্থানীয় সরকার দলীয় নেতা হাফিজুর রহমান জানান, সরকারের “গ্রাম হবে শহর” প্রকল্পের কাজ বিএনপি জামায়াত পন্থি কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে পাঁচ বছরেও এই শেষ হয়নি, এরা বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক। চন্ডীদাসগাতি বাজারে হাট করতে আসা ফিরোজ জানান, এ অঞ্চলের দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চরম হতাশা, দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আশা আঙ্কাংখার হাট ঘর, আনন্দের বদলে রয়েছে, চরম হতাশা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চরম অবহেলা ও ধীর গতি কারণে আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাটে বাজার করতে আসা লোকজনের আগে যে জায়গা দিয়ে যাতায়াত করত, এখন হাট ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে । তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, আমাদের হাটের ভবনটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে কিন্তু কাজে কিছু ত্রুটি রয়েছে এজন্য হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি আসার অনেক আগে থেকেই এই হাট ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।