জলবায়ু পরিবর্তণের প্রভাবে প্রকৃতি ও পরিবেশ আজ সংকটের মুখোমুখি। এ সংকট বিশেষ কোন গোষ্ঠী, দেশ বা জাতির নয়, সমগ্র মানব জাতির। এই সংকট মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তণের কারণে ক্ষতিগ্র¯’ মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনকে ধীর গতি করতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) দিনব্যাপি বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাধন মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সিম্পজিয়ামে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজ আল আসাদের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন। সিম্পোজিয়ামে আরও বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ প্রদিপ কুমার বকসি, বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল হাসান মিলন, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ জাকারিয়া, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, প্রমুখ। সিম্পজিয়ামে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের ৪০টির অধিক দপ্তরের দপ্তর প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি গণ উপস্থিত ছিলেন। সিম্পজিয়ামে বাগেরহাটের মোংলা ও রামপাল উপজেলার বসবাস করা বিপদাপন্ন ৪০ জন নাগরিকে তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বিপদাপন্ন কয়েকজন সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহন করে নিজেদের দুঃখ দূর্দাশার কথা তুলে ধরেন। মোংলা উপজেলার চাঁদপাই এলাকার লতিকা আক্তার লতা বলেন, এলাকায় রাস্তা নেই, সুপেয় পানি নেই। লবন পানিতে গোসল ও রান্না করার কারণে বছরের বেশির ভাগ সময় আমাদের নানা রকম রোগ লেগে থাকে। এসব সমস্যার সমাধানে তেমন কোন উদ্যোগ নিই। রামপাল উপজেলার পেরিখালী এলাকার লাল মোহন বলেন, লবন আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। ফসল ও মাছের উৎপাদন কমে গেছে আগের তুলনায়। রোগও বাড়ছে। আমরা এই সব সমস্যার সমাধান চাই। ভুক্তভোগী নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।