ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে কোমরপুর মাঠে আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে ২ কৃষকের ২ প্লট জায়গার ধানের বীজতলা ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের কোমরপুর লস্করপাড়া গ্রামের মাঠে এই ঘটনা ঘটে। বর্গাচাষী কৃষক রমজান আলীকে নিয়ে মাসুদ লস্কর এর স্ত্রী সালমা বেগম একত্রিতভাবে তাদের বাড়ীর সাথের জমিতে বীজতলা তৈরী করেছিলেন। সরেজমিনে মঙ্গলবার (২৯শে আগষ্ট) বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৮০শতাংশ জমির ওপর লাগানো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে রয়েছে। ধানের সবুজ রঙ এর চারাগুলো ধুসর হলুদ রঙ হয়ে মরে যাচ্ছে। বীজতলার ধানের চারার সাথে সাথে ঘাস লতা ও পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারের বর্গাচাষী নায়েব আলী ও জমির মালিক পক্ষের সালমা বেগম বলেন, এই চারাগুলো সবুজ এবং ভালো ছিলো। তবে ২০দিন আগে জমিতে পাট কেটে ধান লাগানোর সময় তারা এসে ধানের চারাগুলো হলুদ হতে দেখেন। কষ্টের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এখন পথে বসে যেতে হবে তাদের। ধার করে বীজতলা তৈরী করা হয়েছিল। এই বীজ দিয়ে প্রায় ১৮০ শতাংশ জমিতে লাগালে প্রায় ৯০ মন ধান হতো। এখন টাকা দিয়েও চারা পাওয়া যাবে না। এ বছর অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাবে। এখন তারা নিরুপায় । তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায় তারা ভয়ে কারও নিকট কিছুই বলতে পারে নাই। তাদের আকুতি আমাদের এই এত বড় সর্বণাশ কে বা কারা কললো ভয়ে তারা বলতে পারে না । শুধু কান্নাকাটি করে। আরো জানা যায় তার স্বামী বাড়ী থাকে চাকুরী করে। এ বিষয়ে কামারখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান শেখ বলেন, আমি জানি না তবে এটা যারাই করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। ফসলি জমির সাথে শত্রুতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি সচেতন নাগরিক সহ কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান ও কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকতাকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দৃষ্ঠি আর্কষন করেন।