সুন্দরগঞ্জে নানা সমস্যায় জর্জড়িত বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র। লোকবল সংকটের পাশাপাশি ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবনের ভেতরের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। শুধু তাই নয়,উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনেই ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে আছে। গাছগাছালিতে ভরে আছে চারদিক।সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই বাইরে ও ভিতরে জমে হাটু পানি। বিশ্রী দূর্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এ যেন রোগ সৃষ্টির উৎপত্তিস্থল। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমন বেহাল দশা! যেন দেখার কেউ নেই। এ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার, উপ মেডিকল অফিসার,মিডওয়াইফ ও অফিস সহায়ক পদ থাকলেও পূর্বের উপ মেডিকেল অফিসার(সেকমো) অবসর যান তখন থেকেপদটি শূন্য রয়েছে। মেডিকেল অফিসার থাকলেও নিয়মিত অফিস করেন না তিনি। মিডওয়াইফকেও মাঝে মাঝে পাওয়া যায় না অফিসে।অনাভিজ্ঞ অফিস সহায়ক দিয়েই চলছে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। জানা যায়,উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র টি ১০ শয্যা বিশিষ্ট দ্বিতলভবন হওয়ার কথা থাকলেও নিজস্ব জমি না থাকায় সেটাও বাধাগ্রস্থ। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গায় দীর্ঘদিন থেকে এ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ইউনিয়নবাসিদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। সেবা কেন্দ্রটিতে নরমাল ডেলিভারি সহ বিভিন্ন সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও নেই ডেলিভারির ব্যবস্থা। দেয়া হয় না আরো বিভিন্ন সেবা। শুধু নামেমাত্র কিছু সংখ্যক ঔষধ দিয়েই চলছে সেবা কার্যক্রম। তাও দীর্ঘদিন দিন থেকে ক্যালসিয়াম,বিভন্ন রকমের ঘা শুকানো ঔষধ,সর্দি কাশির ঔষধ,এন্টিবায়োটিক সহ পাওয়া যাচ্ছে না কোন ধরনের সিরাপ জাতীয় ঔষধ। সরেজমিনে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে অফিস সহায়ক ব্যতিত আর কোন কর্মকর্তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। পুরনো ভঙ্গুর সেবা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতেই চোখে দেখা যায় উপরে ভাঙ্গা চাল দিয়ে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পরে অফিসের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ কিছু ঔষধও ভিজে গেছে। এসময় দেখা যায় সেবা নিতে আসা বেশ কিছু সংখ্যক রোগিকে। সেবা নিতে আসা রহিমা বেগম, সালেহা বেগম, নিরুবালা, আলেয়াসহ অনেকেই জানান, অনেক দিন থেকে এসে ঘুরে যাচ্ছি ক্যালসিয়াম বড়ি ও ছোট বাচ্চাদের সিরাপ জাতীয় ঔষধ পাচ্ছিনা, এমনকি নিত্যদিনের সঙ্গী গ্যাসের বড়িও মাঝেমধ্যেই পাচ্ছিনা। গরীব মানুষ টাকা নাই তাই বাইরে থেকে ঔষধও কিনতেও পাচ্ছি না। মুঠোফোনে কথা হয় দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার সুবর্ণা ইসলাম বন্যার সাথে তিনি জানান,আমি বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ লোকবল কম থাকায় স্যার আমাকে এখানেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। ঔষধ ও অন্যান্য সমস্যার কথা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে, তিনি বলেন এসব বিষয়ে আমার স্যারের সাথে কথা বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল ফাত্তাহ জানান, ইতিমধ্যে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছি আশা করছি খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধান হবে।তিনি আরও বলেন বামনডাঙ্গ ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চলমান সমস্যা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানিয়েছি এবং ভবনের রিকনস্ট্রাকশনের জন্য আবেদন দিয়েছি।