চার মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্র¯‘তি শুরুর কথা জানিয়েছেন।ইতিমধ্যে সারাদেশের ন্যায় নড়াইলের ভোটারদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী আমেজ।নড়াইল আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হওয়ায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে আলোচনা আগামী সংসদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি? ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় অনেকেই বিলবোর্ড পোষ্টারে নিজেদের প্রচারনা শুরু করেছেন।তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অীভযোগ নির্বাচন এলেই নড়াইলে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে। যারা জেলার নেতাকর্মি, জনগণের কোন খোজ খবর রাখেন না সারা বছরই থাকেন এলাকার বাইরে।নড়াইলের আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি যারা সকাল বিকাল সার্বক্ষণিক নেতাকর্মি, জনগণের পাশে থাকে, দলের দূর্দিনে নানা অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে জীবন বাজী রেখে আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করে গেছেন এমন ত্যাগী মাঠের নেতাদের নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চান তারা। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন খান নিলু। যার ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির হাতেখড়ি স্কুল ছাত্র কমিটির প্রেসিডেন্ট,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি,জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের সভাপতি,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক, বর্তমানে পর পর দুই বারের জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। গণমানুষের জনপ্রিয়তায়ও রয়েছেন শীর্ষে। ১৯৯৭ সালে বিপুল ভোটে নড়াইল পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে নড়াইল পৌসভাকে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেন।বর্তমানে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদদ্বী প্রার্থীর চেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাবুল সাহা বলেন,আমাদের নড়াইলে উড়ন্ত পাখিরা যারা ঢাকায় থাকেন বড় নেতা তারা এই জেলায় আসার দরকার কি? এ সব নেতাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী, সামাজিক কর্মকান্ড কোথায়ও এদের পাওয়া যায় না।এতকাল আগে লোহাগড়ায় ছিলো এম পি আমরা মনে করেছিলাম এবার নড়াইলে এম পি হয়েছে নড়াইলে বিরাট কিছু হবে কিন্ত কিছু হয় নাই।এ আমাদের প্রয়োজন এমন সংসদ সদস্য চাই, যাকে সকালে বিকালে আমরা কাছে পাই, রাস্তায় ডেকে কধা বলতে পারি।অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেলা আওয়ামীগকে শক্তিশালী করেছেন। নিজাম উদ্দিন খান নিলু এম পি হলে এলাকার উন্নয়নে নড়াইলের মানুষের উন্নয়নে হবে। বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস বিলো বলেন, নড়াইলে হাইব্রিড নেতাদের দরকার নেই।নড়াইলের আওয়ামীলীগের দূদিনের একমাত্র নেতা হচ্ছে নিজাম উদ্দিন খান নিলু। নিজাম উদ্দিন খান নিলুর কোন বিকল্প নেই।তৃণমূলের নেতা কর্মীদের প্রাণের দাবি সংসদ সদস্য হিসেবে নিজাম উদ্দিন খান নিলুকে দেখতে চাই। শেখহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলক বিশ্বাস জানান,আমরা তৃণমূলের জনগণ একমাত্র জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন খানকে আমরা সুখ-দুখের সাথী হিসেবে পাই। এম পি হিসেবে তাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে বিশ্বাস করি।এমন কাউকে চাই না যে আমাদের খোজ রাখে না। দরকার হলে তাদের খুজে পাওয়া যায় না। খেটে খাওয়া সাধারন মানুষেরা জানালেন,সুখে,দুঃখে পাশে থাকবে,যার সাথে দেখা করা ও কথা বলা যাবে,জনগণের জন্য কাজ করবে এমন জনপ্রতিনিধি প্রত্যাশা করেন তারা। মোঃ নিজামউদ্দিন খান নিলু বলেন, দলীয় নেত্রী যাকে মনোয়ন দেবেন তাকে নিয়ে আমরা কাজ করব তবে মাঠের দলীয় নেতা কর্মী হিসেবে একটা প্রত্যাশাতো থাববেই সেই প্রত্যাশা হলো স্থানীয় নেতাকর্মির সমন্বয়ে সংসদ সদস্য তারা চায়।জনগণের সুখ, দুঃখের কথা বলতে পারে। জনগণের সুখ, দুঃখের ব্যাথা আমরা বুঝতে পারি। এই উন্নয়ন হচ্ছে কিন্ত ব্যাথা থেকে যাচ্ছে।এটা আমাদের হাই কমান্ড দেখবে বলে আশা করি।আমরা ২১শে ফেব্রুয়ারী, ১৫ইআগষ্ট, ১৬ই ডিসেম্বর যাদের কারনে পালন করতে পারিনি তারাই এখন আওয়ামীলীগের কর্ণধার বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।জেলার মাঠের নেতা কর্মিদের মূল্যায়েেন ত্যাগী নেতারা মনোনয়ন পেলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে দাবি করেন তিনি ।