কেএমপি’র মান্যবর পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা বঙ্গবন্ধু’র জীবনের স্মৃতিস্মরণ করে আলোচনা সভায় বলেন, আমরা অনন্ত শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করতে চাই। বাঙালিজাতীর নিগৃহীত হাজার হাজার মাতা আমাদের মুক্তির জন্য একজন মহানায়ক চেয়েছিলেন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তির সকল বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন। বাঙালি জাতি ও বাংলাকে অনন্য নেতৃত্বে যখন তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন ঘাতকরা তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। ঘাতকেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ব্যতীত সকলকে সপরিবারে হত্যা করেছিলো। সে দিন বাংলাদেশ বেতারে ঘাতক মেজর ডালিম বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘোষণা দিয়ে স্বাধিনতার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছিল। আমরা ছাত্র জীবনে জাতীয় দিবসে কখনই বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি। তিনি আরোও বলেন তাকে পরিকল্পিতভাবে ঘাতকেরা স্বাধীনতার অপশক্তি মাধ্যমে দূরে সরিয়ে রেখেছিলো। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে তিনি বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই উন্নয়নকেই দমিয়ে দিতে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন। আমরাই সেই দুর্ভাগা জাতি যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছি। এখন যে সকল ঘাতকেরা বিদেশের মাটিতে লুকিয়ে রয়েছে সেই সকল ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে বঙ্গবন্ধুর সু-বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সম্মুখে এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশ ও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ১৯৭১ সালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছিল। স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে কেএমপিসহ বাংলাদেশ পুলিশ সদা প্রস্তুত। আমরা মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, যানজট মুক্ত, নাশকতা, এবং পেট্রোল বোমা ও আগুন সন্ত্রাস মুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ মহানগরী গঠন করতে বদ্ধপরিকর। তিনি আরোও বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই খুলনার জনগণের জানমালের হেফাজত করা আমার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হবে। উক্ত শোক সভায় খুলনা খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির আলোচনা সভায় বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পুলিশ বিভাগ যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করেছেন তা আজ দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর সাথে বাংলাদেশ পুলিশের ছিল হৃদয়ের সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তির নয়, বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাংলার মানুষের নয়নের মনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করতে পেরেছিলাম। খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান আলোচনা সভায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে এবং বিচার স্থগিত করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে আরেকবার কলঙ্কিত করা হয়েছিল। এ সময়ে সরকারি বিএল কলেজ, খুলনার অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু’র স্মৃতিস্মরণ করে বলেন, ‘‘আগামীর প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলা উপহার দিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নীতি, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের শিক্ষা নিয়ে তরুণ প্রজন্মকে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময়ে আলোচনা সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন সরকারি বিএল কলেজ, খুলনার অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেপুটি কমান্ড্যান্ট), পিটিসি, খুলনা হাবিবুর রহমান খাঁন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোঃ নিজামুল হক মোল্যা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) এম.এম শাকিলুজ্জামান, খুলনা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম-সেবা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৬ পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির এবং খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমানসহ কেএমপি ও খুলনাস্থ সকল ইউনিটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দসহ ইলেকট্রোনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।