গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পৌরসভার আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে শোক র্যালী, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকালে পৌর শহরের উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে শহীদ পরিবারের সন্তান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর মেয়র মোঃ মুকিতুর রহমান রাফির সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে বাম ডান করতে করতে বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন, সেই অপশক্তিগুলোই পরবর্তীতে তৎপর হয়ে সংবিধান বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করে ২০১৫, ১৪ ও ১৫ সালে সন্ত্রাস, বিশৃঙ্গলা ও অরাজকতার দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছিলেন। এই খুনীরা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যার চেষ্টা করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, সর্বজনীন পেনশন, গ্রামকে শহরে রুপান্তর, শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা, পাকা রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করেছে। সেই কারনে ওরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নেপথ্যের নায়ক তারেক জিয়া যেখানেই থাকেন, একদিন বাংলার মাটিতে আসতে হবে। তখন বাংলার মানুষের গণআদালতে তার বিচার হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রকে যারা ব্যাহত করতে চায়, তাদের সেই যাত্রা কখনো শুভ হবে না। দেশের মানুষ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মত ক্ষমতায় দেখতে চায়। শোকাবহ আগস্টের শক্তিকে পুঁজি করে আমরা সবাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চাই।
উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর প্যানেল মেয়র শাহিন আকন্দের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক তৌকির হাসান রচি, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদুর রহমান মুরাদ, ময়দানহাট্রা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুপম, তালুককানুপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক, প্যানেল মেয়র-২ ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিমন তালুকদার, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম জাফু, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান রিপন, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মাজেদুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মোখলেছুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম আন্টু, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছামুস উদ্দিন সরকার ভেলা, (১, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) মোছাঃ সুইটি বেগম (২, ৩ ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর), মোছাঃ জহুরা বেগম (৭, ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) মোছাঃ শাহানারা বেগম জবা, সাবেক কাউন্সিলর ফারুক হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফরহাদ আকন্দ, যুগ্ন আহবায়ক সাদ্দাম হোসেন ও বাবুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু মোহন রায় জিবু বাবুু প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে এক বিশাল শোক র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালী শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্য এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের মোনাজাতের মাধ্যমে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। দোয়া শেষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী আয়োজন করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে আলোচনা সভা, শোক র্যালী, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে অত্র উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।