২৯ আগস্ট, ২০২৩খ্রিঃ, মঙ্গলবার, বেলা ১১টায়, আমতলী ঈদগাহ মাঠ, মহাখালী (জলখাবারের সামনে) ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে “১৫ই আগস্টের শহীদদের স্মরণে” অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সমগ্রী বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সাথে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। ’৭৫-এর সব শেষ করে ফেলার পরেও এদেশের জনগণ আমাদের পাশে ছিল বলে আমরা বাংলাদেশের জনগণের সাথে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। এদেশের জনগণকে আমরা সবসময় আমাদের সাথে পেয়েছি। এদেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আমাদের পাশে ছিল এবং সবসময় থাকে। জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের তাদের মতাদর্শ থেকে টলাতে পারেন নাই, নৌকার ভোটারদেরকে টলাতে পারে নাই। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে তিনবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে। তিনি আরও বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সার্বজনীন পেনশন প্লান: সে স্কিমের আওতায় সরকারি চাকুরীজীবি ব্যতীত দেশের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভূক্ত হল। কারো বয়স ১৮ বছরের বেশি হলেই এখন অনলাইনে এটিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। চাকুরীজীবিদের বাইরে যে জনগোষ্ঠী তাদের জন্য এই ব্যবস্থা। প্রায় ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে চালু করা হচ্ছে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা (স্কিম) চালু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ কর্মসূচি একটা যুগান্তকারী জনহিতকর কর্মসূচি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও বিনা মূল্যে গৃহহীনদের ঘড় দেয় না। সেখানে আমাদের মতো নিম্ন মধ্যম আয়ের একটা দেশে সেটা সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যাতে ৪র্থ বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দক্ষ মানব সম্পদ হিসাবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিলে আপনাদের জীবন মানের ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। একটু যদি পিছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কি অবস্থা ছিল। আপনাদের আয় কত ছিল? রাস্তা-ঘাটের কি অবস্থা ছিল? শিক্ষার সুযোগ কি ছিল? চিকিৎসার ব্যবস্থা কি ছিল? সামাজিক নিরাপত্তার অবস্থা কি ছিল? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা করে করে যাচ্ছেন? জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এখন আপনাদের জন্য উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ। একটা ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি আস্থা হাড়িয়ে ফেলে। নৌকার ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। আর এ নীলনকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। মানুষকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারও তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। তারেকের নির্দেশে রমনার বটমূলে, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছিল। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল তারেক জিয়া। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে র্বথ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই বিএনপি-জামাত আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের উন্নয়নকে ব্যহত করতে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। এই জামাতকে প্রতিহত করতে যুবলীগই যথেষ্ট। যদি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামে তাহলে বিএনপি-জামাত পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইদুর রহমান জুয়েল।