লালমনিরহাটে পরিবেশ অধিদপ্তর নেই, নেই পরিবেশ আদালতের অভিযানের ভয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের ২নং দুরাকুটি বিশবাড়ী গ্রামের আঃ সালাম গড়ে তুলেছেন নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন কারখানা। যার সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানান, এক সময়ে লালমনিরহাট শহরের খুচরা নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রেতা আব্দুস সালাম গ্রামের ভেতর নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা দিয়ে জমজমাট ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন করছেন। তার অন্যতম সহযোগী খুচরা পলিথিন বিক্রেতা বড়মসজিদ মার্কেটের মফিজুল ষ্টোরের মালিক মফিজুল ইসলাম। এরা দু’জনে এক সময় ঢাকা, সৈয়দপুর পলিথিন কারখানা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন সংগ্রহ করে পুরো লালমনিরহাটে খুচরা পলিথিন বিক্রি করেছিলেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রিতে তাদের কপাল খুলে যায়। আজ আঃ সালাম সেই নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন কারখানার মালিক। আর মফিজুল ইসলাম পৌর শহরে জমি কিনে বানিয়েছেন বড় বাড়ি। বনে গেছেন লাখ লাখ টাকা মালিকও। সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের ভেতর নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় ৪/৫ জন কর্মচারী পচনশীল ক্যামিক্যাল ছাড়াই দিন-রাত, ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন করছেন। সেখান থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগগুলো রেলবাজারের আব্দুস সালাম ও বড়মসজিদ মার্কেটের মফিজুল ইসলামের দোকান ও গোডাউনে ঘরে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। তাদের দোকান ঘরের পাশে গোডাউন ঘরও রয়েছে। সেই দোকান ঘর আর গোডাউন ঘরে সারি সারি ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন রেখে প্রতিদিন মনকা মন খুচরা ও পাইকারী দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি দুরদুরান্তে নিষিদ্ধ পলিথিন অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আদান প্রদান করছেন। এরা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স কিছুই দেন না। কাস্টমস, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিয়ে মানকা মন নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করছেন। খুচরা পলিথিন ক্রেতা ও গলামাল ব্যবসায়ী জানান, দশ টাকার খরচ থেকে এক হাজার টাকার খরচ পর্যন্ত এ পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। দিন দিন লালমনিরহাটে পলিথিনের চাহিদা বাড়ছে। সালাম ও মফিজুলের কারণে শহরে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। এ বিষয়ে পলিথিন বিক্রেতা মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি আব্দুস সালামের কাজ থেকে পাইকারি দরে পলিথিন কিনে খুচরা বিক্রি করি। আমার কাছে সব উপজেলার মানুষ এসে পলিথিন কিনে নেয়। পলিথিন ফ্যাক্টরির মালিক আব্দুস সালাম এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। আর এ বিষয়ে পরিবেশবীদরা বলছেন, পরিবেশ রক্ষায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনা জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল।