বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আইনজীবীদের দুই পক্ষের হট্টগোলের মধ্যে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন দুই বিচারপতি।
সোমবার সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে টানা ৩০ মিনিটের মত চলা এই হট্টগোলের কারণে আদালতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। বিচারপতিদের যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শেইম-শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন।
যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদনের শুনানি হয়। শুনানির পর তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গত ২২ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রুলের নোটিশ রিটে উল্লেখিত তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ বোর্ডে এবং একটি জাতীয় দৈনিকে প্রচার করা হয়।
তবে এক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, গুলশানের যে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেটি তারেক রহমানের সর্বশেষ ঠিকানা না। তিনি এখন লন্ডনে তাই তার ওই ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হবে। তবে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী আবেদনকারীরা নোটিশ পাঠিয়েছে বলেছেন।