নড়াইল সদর উপজেলার ১৬৫ নং দক্ষিন বাগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালী খানমের স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষারমান ও পরিবেশ ধংসের দ্বারপ্রান্তে। সরকারি স্কুল হলেও ছাত্রছাত্রী ভর্তি ও ছাড়পত্রে টাকা নেন প্রধান শিক্ষকশেফালী খানম। পরীক্ষায় গাইড বই দেখে লেখানো, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিস্কার করানোসহ নানা দূনীতি ও অনিয়মের অভিযোগে চলছে তদন্ত।তবে তদন্ত কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষক শেফালী খানমের আত্নীয় হওয়ায় সঠিক তদন্ত নিয়ে আশংকা করছেন অভিযোগকারিরা।
ভয়েজ ওভার ঃ
নড়াইল সদর উপজেলার দক্ষিন বাগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালী বেগমের দূর্নীতি ও অনিয়মে জিম্মি হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।এ বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে প্রধান শিক্ষক শেফালী খানমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও অজানা কারনে পার পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগে বলেন, প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদেরকে গাইড বই খুলে লেখতে বলেন, বছর শেষে পুরানো বই ফেরত নিয়ে বিক্রি করে দেন।এমনকি কারো একটি বই হারিয়ে গেলেও তাকে আর বই দেওয়া হয় না। ভর্তি ও ছাড়পত্রে টাকা নেন প্রধান শিক্ষকশেফালী খানম।,কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিস্কার করানো হয়। নুরনাহার জানান,বিদ্যালয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সহকারি শিক্ষকরা মাস ৫শ টাকা দিলেও প্রধান শিক্ষক তাকে গাল মন্দ করে তাড়িয়ে দেয়। সিংকঃ ১ স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিবাবক সদস্য তৌহিদ মিনা আশঙ্কা করে বলেন,প্রথম তদন্তে সজল কুমার বিশ্বাস আমাদেরকে ডেকে প্রধান শিক্ষক শেফালী বেগমকে ক্ষমা করে দিতে বলেন। দ্বিতীয় তদন্তে তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী আমাদেরকে চলে যেতে বলে শেফালী বেগমের নিজেদের লোক ডেকে আলাদাভাবে লিখিত নিয়েছে। আমরা পরে জানতে পেরেছি তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী প্রধান শিক্ষক শেফালী বেগমের নিকট আত্নীয় হন।তাই সঠিক তদন্তের ব্যাপারে আমরা সন্দিহান। সিংকঃ ২ স্কুল পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খালিদ হাসান বলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ সত্য,তবে তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী আমাদেরকে চলে যেতে বলে শেফালী বেগমের নিজেদের লোক ডেকে আলাদাভাবে লিখিত নিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শেফালী বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলবেন না বলে জানান। তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীর অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।এ সময় মুঠোফোনে তিনি বলেন আমরা তদন্ত রির্পোট অফিসে জমা দেব কোন মন্তব্য করব না।আর কেউ আমার আত্নীয় হয় না ।