বাংলাদশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিচক্র যে পাকিস্তানের আদর্শে বাংলাদেশকে পরিচালনার চেষ্টা করেছিল, সেই পাকিস্তান আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে আর বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট খুনীচক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে যে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে- তা কোন ভাবেই মোচনীয় নয়। খুনীদের বিচার হওয়া মানে তাদের শাস্তি হল মাত্র। খুনীচক্র দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছিল।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাসস প্রধান একথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাতির পিতার দর্শনকে শক্তি হিসাবে যেনো দাঁড় করাতে না পারে, সেজন্য শিশু শেখ রাসেলকেও তারা হত্যা করে। যে পরিকল্পনার মাধ্যমে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই রকম পরিকল্পনা হয়েছে বারবার তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি ওমর ফারুক।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও বেশি বেশি চর্চা করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে। তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
এসময় তিনি বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আবারও মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের ধারক ও বাহক শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
এই সময় বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন জেলা সাহিত্য একাডেমী সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আরজু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি এডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আবৃত্তি করেন- তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের আবৃত্তি শিল্পী ফারদিয়া আশরাফি নাওমী ও তাহিয়া তাবাসসুম দিহান।