জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গগাওয়া প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় মানাঙ্গগাওয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে। যদিও বিরোধীরা ভোটের এই ফলাফলকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও তাৎক্ষণিকভাবে ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।খবর আল-জাজিরার।
২০১৭ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জিম্বাবুয়েতে রবার্ট মুগাবের দীর্ঘদিনের শাসনের অবসান হওয়ার পর ক্ষমতায় আসেন মানাঙ্গগাওয়া। নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের লড়াইয়ের জন্য তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবেন, এমনটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল।
কিন্তু এ সপ্তাহের ভোটের পর নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ এর পক্ষে নির্লজ্জ পক্ষপাত করা হয়েছে। চার দশকের বেশি সময় ধরে দলটি জিম্বাবুয়ের ক্ষমতায় রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, মানাঙ্গগাওয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান বিরোধীদল সিটিজেন্স কোয়ালিশন ফর চেঞ্জ (সিসিসি) পার্টির নেতা নেলসন চামিসা ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনেও সামান্য ব্যবধানেই চামিসাকে হারিয়েছিলেন মানাঙ্গগাওয়া। সেবারও বিরোধীরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছিল। কিন্তু দেশটির সাংবিধানিক আদালত ভোটের ফলাফল বহাল রাখে।
এবারের নির্বাচনেও ভোটের ফলাফল নিজের পক্ষে নিতে কোনো ধরণের কারচুপি করা হয়নি বলে দাবি করেছে জানু-পিএফ।