সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে,যার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর উল্লেখযোগ্য।বিভিন্ন ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার,চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোরা জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে।নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিভিন্ন নামের কিশোর গ্যাং গ্রুপ কর্তৃক আধিপত্য বিস্তার,চাঁদাবাজি,চুরি-ছিনতাই,মাদক ব্যাবসা জিরো টলারেন্স এবং এমন কর্মকান্ডে লিপ্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আনার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম মহানগর জুড়ে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। কতিপয় দৃষ্কৃতিকারী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন এম আলী নগরস্ত একটি গ্যারেজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে নিভৃত স্থানে সমবেত হওয়ার খবর পেয়ে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রামের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার ফারুক মাঝির ছেলে নুর মোহাম্মদ নয়ন,ইপিজেড এলাকার মৃত হানিফের ছেলে সম্রাট,নোয়াখালী বসুরহাটের আবদুল হাদির ছেলে রাহাদকে আটক করতে সক্ষম হয়।আকটকৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে ধারালো ২টি স্টীলের চাকু এবং ১টি ধারালো খুর উদ্ধার করেন র্যাব। আটককৃত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মূলত চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি,ছিনতাই,চাঁদাবাজী ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।এছাড়াও এই গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে স্থানীয় এলাকায় ছিনতাই,চাঁদাবাজী,নিজেদের মধ্যে মারামারি,অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান,দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়। আসামীদের তথ্যমতে পরস্পর একে অন্যের সাথে যোগাযোগক্রমে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে ইপিজেড থানা এলাকাসহ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে।সাধারণ মানুষসহ প্রাত্যহিক চলাচলরত বিভিন্ন শেণী পেশার মানুষদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভীতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র,স্বর্ণালংকার,মোবাইল ফোন,নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামাত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।