নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল ৭ আগস্ট সোমবার সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের সম্মুখস্থ পুকুরে পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়। এ সময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত পোনামাছ অবমুক্ত করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতের আওতায় বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্তকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপ্লিন এবং মৎস্য অধিদপ্তর খুলনার আয়োজনে এ পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়। এসময়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শ্রাবণের এই বারিধারার মধ্যে পুকুরে মৎস্য অবমুক্ত করা এক দারুণ অনুভূতি। আমরা যে মাছে-ভাতে বাঙালি সেটি আবারও প্রমাণিত হলো। তিনি আরোও বলেন, আমাদের দেশের প্রোটিনের চাহিদার সিংহভাগই পূরণ হচ্ছে মাছের মাধ্যমে। এজন্য ফিশারিজ সেক্টরের অবদান অন্যতম। তবে আমাদের এখন নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন মাছ উৎপাদনের দিকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে অধিক গবেষণার জরুরী প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে মাছের উৎপাদন বাড়লেও প্রাকৃতিক জলাধার থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্ত হচ্ছে। এখন আমাদের দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নতুন জলাশয়গুলো তৈরি করা হয়েছে তাতে দেশীয় প্রজাতির মাছ ছাড়ার জন্য এফএমআরটি ডিসিপ্লিন উদ্যোগ নিতে পারে। সেক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উক্ত অনুুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। এসময় এফএমআরটি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম সরোয়ার ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পালসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।