চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দুই দফা বাগড়া দেয় বৃষ্টি। আর তাই ৫০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ৪৩ ওভারে। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তাওহিদ হৃদয়ের অর্ধশতকে ৪৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
সাগরিকায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আফগান পেসারদের তোপ সামলাতে হিমশিম খেতে থাকেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস।
আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তামিমকে। সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফারুকির ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারেই হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম।
অফ-স্টাম্পের বাইরের বলটি কাট করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে গর্জে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু এবার বেশ খানিকটা লাইন পরিবর্তন করলেন ফারুকি, এই বলে আলতো করে ব্যাট চালিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন টাইগারদের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
আর তামিমকে ফিরিয়ে পাওয়ার প্লেতেই প্রথম উইকেটের দেখা পেয়ে যায় আফগানিস্তান। ১৩ রানে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এর মধ্য দিয়ে ‘তামিম বনাম ফারুকি’ লড়াইয়ে আবারও জয়ী ফারুকি। দলীয় ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শুরুতে তামিম ফেরার পর চাপ সামলে নিয়ে খোলস ছেড়ে বের হতে শুরু করেন লিটন দাস। কিন্তু বের হওয়ার আগেই তাকে থামতে হয় মুজিব উর রহমানের শিকার বনে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।
লিটনের বিদায়ের পরপরই মাঠ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিড়ে বের হতে ব্যর্থ হয়ে এবারও তাকে মাঠ ছাড়তে হয় ১২ রান করে। আর তাতেই ৭২ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাকিব। এরপর বৃষ্টি বাগড়ায় খেলা বন্ধ হয়। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে দলীয় ১০২ রানে আউট হন সাকিব। ৩৫ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান সাকিব।
এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে এসে দ্রুতই ফিরে যান এই ব্যাটার। দলীয় ১১২ রানে ৩ বলে ১ রান করে ফিরে যান মুশফিক। এরপর আউট হন আরেক ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৮ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি।
আফিফের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদি মিরাজ। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ২৩ বলে মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান মিরাজ। এরপর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। ৩৪ ওভার ৪ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এমন সময় বৃষ্টি নামলে ফের বন্ধ হয় খেলা।
বৃষ্টি থামলে ৪৩ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫৩ রানে ১৯ বলে ৭ রান করে আউট হন তাসকিন। তবে অন্যদিকে ৬৭ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন হৃদয়।
অর্ধশতক পূরণ করেই সাজঘরে ফিরে যান হৃদয়। দলীয় ১৬৪ রানে ৬৯ বলে ৫১ রান করে ফিরে যান এই ব্যাটার। এরপর ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজ রহমান। শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভার শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।