র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ ডাকাতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে । মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানাধীন এলাকায় বসবাসরত একজন নারী (২৬) এর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ইনস্টাগ্রাম) এ বিদেশী এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে বিদেশী ব্যক্তি ১৭/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ভিকটিমের ঠিকানায় একটি পার্সেল পাঠিয়েছে বলে জানায় এবং তা এয়ারপোর্ট থেকে সংগ্রহ করার জন্য বলে। অতঃপর ১৮/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কাস্টমস এর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা এক মহিলা তাকে জানায় তার নামে একটি অতি মূল্যবান পার্সেল বিমানবন্দরে এসেছে। পার্সেলটি ডেলিভারি করতে কাস্টমস্্ চার্জ হিসেবে ৬০,০০০ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে বলে জানায়। অজ্ঞাতনামা মহিলা কথা অনুযায়ী ভিকটিম অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির দেয়া ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ৩৫,০০০ টাকা প্রদান করে। অতঃপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পুনরায় ভিকটিমকে জানায় সিকিউরিটির জন্য আরও ৩০,০০০ টাকা জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ভিকটিম উক্ত মহিলার কথা অনুযায়ী উক্ত একাউন্টে আরোও-৩০,০০০ টাকা পাঠায়। অতপর ভিকটিম পার্সেলর জন্য উক্ত নম্বরে যোগাযোগ করলে উক্ত মহিলা জানায় তার পার্সেল তার বাসায় পৌঁছে যাবে। পরবর্তীতে ভিকটিম পার্সেল জন্য যোগাযোগ করলে উল্টাপাল্টা কথা বলে আরোও ৮,৩২০ টাকা বিকাশের মধ্যমে পাঠানোর জন্য বললে ভিকটিম তার আত্মীয়দের সাথে বিষয়টি আলোচনা করে র্যাবের কাছে অভিযোগ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধারা আবাসিক এলাকা এবং কদমতলী থানাধীন শামীমবাগ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশ থেকে অতি মূল্যবান পার্সেল পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ০২ বিদেশি নাগরিকসহ সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের নাম ১। ঈঐঅজখঊঝ ওঋঊঘঘঅউঊ টউঊতটঊ (২৭), দেশ- নাইজেরিয়া, ২। ঋজঅঘক ঈঙঈঙ ঙইওঊজকঝ (৩৫), দেশ- নাইজেরিয়া, ৩। শফি মোল্লা (৩৬), পিতা- আইয়ুব মোল্লা, সাং- পাঁচবাড়িয়া, থানা- আড়াইহাজার, জেলা- নারায়ণগঞ্জ ও ৪। মোছাঃ মৌসুমি খাতুন (২৭), পিতা- লুক্কু মিয়া, সাং- গৌরিপুর, থানা- সদর, জেলা- ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা- সাং- রায়েরবাগ, থানা- যাত্রাবাড়ী, জেলা- ঢাকা বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ০১টি মোটর সাইকেল, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৮টি মোবাইল ফোনসহ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ভুয়া ইনভয়েস উদ্ধার করা হয়। উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।