গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গাছের সঙ্গে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া গৃহবধূ সুফি বেগম (৫০) মারা গেছেন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মারা যাওয়া নারীর দেবর ও সাবেক পুলিশ সদস্য লিয়াকত মোল্লাকে (৪৯) আটক করা হয়েছে। কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারা যাওয়া সুফি বেগম একই উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার স্ত্রী। জানা গেছে, ওই উপজেলার বাঘঝাপা গ্রামের লিয়াকত মোল্লা তার পৈতৃক সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ বিক্রি করে অন্যত্র চলে যান। পরে তিনি আবারো সম্পত্তি দাবি করলে ইউসুফ আলী মোল্লার সঙ্গে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। এতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে লিয়াকত মোল্লা তার ভাবী সুফি বেগমকে ঘর থেকে টেনে বাড়ির উঠানে নিয়ে যান। সেখানে সুফি বেগমকে পেয়ারা গাছের সঙ্গে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় সুফি বেগমকে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে সুফি বেগম মারা যান। এবিষয়ে কাশিয়ানী থানার ওসি ফিরোজ আলম বলেন, অভিযুক্ত দেবর লিয়াকত মোল্লাকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে। আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর আগেও লিয়াকত মোল্লা তার ভাবীর মাথার চুল কেঁটে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে স্থানীয়রা সালিশ করে বিষয়টি মিটিয়ে দেন।
###